পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মাতৃভাষা অথবা আঞ্চলিক ভাষায় শিক্ষা আবশ্যিক করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে স্কুলের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত যাবতীয় পঠনপাঠন এই ভাষাতেই হবে বলে নতুন শিক্ষা নীতিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদিত নতুন শিক্ষা নীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে, জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্কুলশিক্ষা সচিব অনিতা কারওয়াল।
নতুন শিক্ষা নীতিতে স্কুলশিক্ষার উপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নতুন নির্দেশ মেনে স্কুলের জাতীয় পাঠ্যসূচি তৈরি করার দায়িত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে এনসিইআরটি-কে।
একই সঙ্গে জাতীয় স্বাক্ষরতা ও শিক্ষা অভিযান চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
স্কুলে পাঠ্যবিষয় নির্বাচনের সুবিধা পাওয়া যাবে মাধ্যমিক স্তর থেকে। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে আবশ্যিক করা হচ্ছে কোডিং শিক্ষা।
স্কুলে কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে কোনও নিরেট বিভাজন থাকছে না আর। বিভেদ ঘুচে যাচ্ছে আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক বিষয়ের মধ্যেও।
ষষ্ঠ শ্রেণি থেকেই বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। সেই সঙ্গে থাকছে ইন্টার্নশিপ-এর সুবিধাও। স্কুলের পড়ার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে ১০ দিনের জন্য ইন্টার্ন হিসেবে কাটজ করার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ইচ্ছে হলে কোনও স্কুলপড়ুয়া স্থানীয় ধোপাখানায় এই সময়ের জন্য শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ করতে পারে।
স্কুলে বোর্ড পরীক্ষার গুরুত্ব কমানোর জন্য নয়া শিক্ষা নীতিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বোর্ড পরীক্ষাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে- অবজেক্টিভ ও বর্ণনামূলক।
স্কুলের বাৎসরিক রিপোর্ট কার্ডে শিক্ষকদের মূল্যায়নের পাশাপাশি এবা থেকে অন্তর্ভুক্ত হবে ছাত্রের নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নও।