আমনদীপ শুক্লা
তাহলে কি জোর করে ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে? নাকি দেশের সর্বত্র 'হিন্দি' চালুর পথ প্রশস্ত করছে কেন্দ্র? নয়া শিক্ষানীতির (New Education Policy বা NEP 2020) ঘোষণার পর এমনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও কেন্দ্রের তরফে সাফাই দেওয়া হল, 'তিন ভাষা' ফর্মুলা চালু হলেও কোনও ভাষা কারোর উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি জানানো হল, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি ইংরেজিতেই পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে পারবে।
আরও পড়ুন : ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার সময়সীমার বাড়ল
বুধবার নয়া শিক্ষানীতির যে নথি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে জানানো হয়েছে, নিজেদের ‘ঘরের ভাষা’-য় সাধারণ জিনিস দ্রুত শেখে শিশুরা। যে ভাষা অধিকাংশ সময়েই মাতৃভাষা হয়। সেজন্য সেই মাধ্যমে পঠনপাঠনে ‘অগ্রাধিকার দেওয়া’ উচিত। নথিতে বলা হয়েছে, ‘যেখানে সম্ভব, সেখানে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠনের মাধ্যম হবে ঘরের ভাষা, মাতৃভাষা, স্থানীয় ভাষা এবং আঞ্চলিক ভাষা। তা অষ্টম শ্রেণি বা তার পর্যন্ত হলে ভালো হয়। সেইমতো যেখানে সম্ভব, সেখানে ঘরের বা স্থানীয় ভাষায় পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে হবে। তা সরকারি ও বেসরকারি উভয় স্কুলই অনুসরণ করবে।’
আরও পড়ুন : Unlock 3- খুলছে না স্কুল, কলেজ, মেট্রো, উঠে গেল রাতের কারফিউ
তবে আঞ্চলিক ভাষা বা মাতৃভাষায় পঠনপাঠনের নীতির ফলে দেশজুড়ে থাকা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়। অনেক স্কুলই সংশ্লিষ্ট এলাকার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হয়। বিষয়টি নিয়ে মানবসম্পদ ও উন্নয়ন মন্ত্রকের (যা শিক্ষামন্ত্রক হিসেবে পরিচিত হতে চলেছে) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এক আধিকারিক সাফাই দেন, নয়া শিক্ষানীতির মাধ্যমে কারোর উপর কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য নেই। তিনি বলেন, ‘মাতৃভাষা নিয়ে নির্দেশের পরও শিক্ষানীতির নথিতে জোর দেওয়া হয়েছে - যেখানে সম্ভব। কোনও কিছু চাপিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তাছাড়াও পড়ুয়াদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।’