জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে মতামত দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে প্রযুক্তি নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি এড়িয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার হাইব্রিড সিস্টেম দরকার। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শিক্ষার মূল ধারায় পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনার জন্য, উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ধারায় প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য সংস্কার খুব প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, ইউজিসি চেয়ারম্যান, এআইসিটিই চেয়ারম্যান, এনসিইআরটির ডিরেক্টর সহ পদস্থ আধিকারিকরা এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
হাইব্রিড শিক্ষার উপর জোর দেন মোদী। অর্থাৎ অনেকের মতে, প্রথাগত স্কুল কলেজে যেভাবে ছাত্র শিক্ষক মুখোমুখি শিক্ষাগ্রহণ হয় সেটাও থাকবে, অন্যদিকে প্রযুক্তিরও সহায়তা নেওয়া হবে, এই দুইয়েরই সমণ্বয়কে বলা হয় Hybrid Learning or Blended learning।
প্রধানমন্ত্রী এদিন ছোটবেলায় ভালো মানের শিক্ষা,কলা ভিত্তিক শিক্ষা, খেলনা দিয়ে বাচ্চাদের পড়াশোনা করানোর বিষয়গুলি নিয়ে পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা ও সেই সংক্রান্ত তথ্যপঞ্জী রক্ষার করার উপর জোর দেওয়া হয়। পাশাপাশি পড়ুয়াদের মধ্যে ধারণা পরিষ্কার রাখার জন্য অভিনব খেলনার ব্যবহারও করা যেতে পারে। পাশাপাশি সেকেন্ডারি স্কুলে বিজ্ঞানের ল্যাবরেটরিতে মাটি পরীক্ষা ও মাটির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে প্রস্তাব দেন মোদী।
পাশাপাশি SWAYAM DIKSHA, SWYAM PRABHA সহ নানা ধরনের ভার্চুয়াল ল্যাব ও পোর্টালের ব্যাপারেও এদিন আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ভাষায় এখানে শিক্ষার মেটিরিয়াল পাওয়া যাবে বলেও এদিন বলা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে বিভিন্ন ভাষার ব্যবহারের উপর জোর দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। DIKSHA প্লাটফর্ম অন্তত ৩৩টি ভাষায় তৈরি হয়েছে।