উত্তরাখণ্ডের চম্বাবত জেলায় ভারত-নেপাল সীমান্তে যেখানে লো ম্যানস ল্যান্ড রয়েছে, সেখানে নির্মীণ কাজ করবে না বলে জানিয়ে দিল নেপাল। একই সঙ্গে বর্তমানে সেখানে যে সব বেড়া দিয়েছে তারা, সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। ভারত ও নেপালের অধিকর্তাদের মধ্যে বৈঠকে মঙ্গলবার এই সমাধান সূত্র বেরিয়েছে।
দুই দেশের জেলা স্তরের আধিকারিকদের মধ্যে ইনফর্মাল বৈঠকে ঠিক হয় সীমান্তে যেখানে বর্ডার ঠিক করে নির্ধারিত নয়, সেখানে দুই পক্ষই কিছু করতে যাবে না। স্ট্যাটাস ক্যু (আগে যেমন ছিল) ফিরিয়ে আনা হবে।
বৈঠকে ছিলেন চম্পাবতের জেলাশাসক,, পুলিশ সুপার ও সশস্ত্র সীমা বলের কম্যান্ডার। নেপালের দিকে ছিলেন লাগোয়া কাঞ্চনপুর জেলার প্রধান জেলা অধিকর্তা, পুলিশ সুপার ও আর্মড পুলিশ ফোর্সের এসপি।
চম্পাবতের জেলাশাসক সুরেন্দ্র নারায়ণ পাণ্ডে বলেন যে দুই ঘণ্টার বৈঠকে ঠিক হয় যে এই সমস্যাকে আর বাড়তে দেওয়া চলবে না। ঠিক করে সীমান্ত নির্ধারিত না হওয়া অবধি এই জায়গায় কেউ কোনও নির্মাণ কাজ করবে না বলে ঠিক করা হয়।
স্ট্যাটাস ক্যু ফেরাতে দুই দেশ রাজি হয়েছে বলে জানান পাণ্ডে। এই আস্থাবর্ধক বৈঠকে ঠিক হয় যে সীমান্ত সমস্যার পাকাপাকি সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দিয়ে জরিপ করাতে হবে ওই জমির।
যে সব বেড়া নেপাল দিয়েছে ওই বিতর্কিত জায়গায় সেটা দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হবে বলেও নেপালের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিক বৈঠক করতেও রাজি হয়েছে দুই দেশ।
গত মাসের ২২ তারিখ থেকে নিজেদের সীমান্ত পেরিয়ে বিতর্কিত অঞ্চলে নির্মাণ শুরু করে নেপালিরা। প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার বেরোলো সমাধানসূত্র। তবে বাস্তবে সেটা হয় কিনা, সেটাই দেখার।