গত কয়েক মাস ধরে বিহারের পূর্ব চম্পরন জেলায় রাক্সৌল গ্রামের কাছে অস্থায়ী ক্যাম্প বানিয়ে বসেছিল নেপালের সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী( এপিএফ)। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকায় নিজে থেকেই ক্যাম্প গুটিয়ে ফিরে গিয়েছে নেপাল পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ক্যাম্পটি রাক্সৌল শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে পানটোকা গ্রামে অবস্থিত ছিল। লকডাউনের পর এটা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এখন সেখানে কিছু নেই বলে জানিয়েছেন সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) ৪৭ ব্য়াটেলিয়নের কম্যান্ডার। ভারত-নেপাল বর্ডার দেখভাল করে এসএসবি। অন্য এক এসএসবি কর্তা জানিয়েছেন যে নিজেদের সীমান্তে ১০০ মিটার ভিতরে এখন ক্যাম্পটি চালু করেছে নেপাল।
প্রথমে নেপালের ম্যাপ নিয়ে বিতর্ক। তারপর নেপাল পুলিশের হাতে মারা গেলেন এক ভারতীয় গ্রামবাসী। সামনে বর্ষা, এখন পূর্ব চম্পরনে বাঁধ সারাইয়ের কাজ আটকাচ্ছে নেপাল। সব মিলিয়ে সম্পর্ক তিক্ত এই দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে।
পানটোকা গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন যে দুই মাস আগে এই ক্যাম্পটি চালু হয়েছিল। ইসলাম বলে এক স্থানীয় জানান যে তাঁর তিন একর জমি আছে যেখানে এপিএফ ক্যাম্প করেছিল। তাঁরা চাষের কাজ করতে গেলে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে তিনি জানান।
একই কথা জানিয়েছেন দিনেশ মাহাতো বলে এক স্থানীয়। তিনি বলে যে শীর্ষিয়া নদী পেরোতে গেলেই তাদের আটকাছে নেপালি পুলিশ। ওই ক্যাম্পটা ওখানে থাকায় অনেকে দাবি করছিল যে জমিটি নেপালের বলেও তিনি জানান।
যদিও এসএসবি-র এক কর্তা বলছেন যে অস্থায়ী একটা ক্যাম্প বানিয়ে জমির দাবি করা যায় না।