সীমান্ত সংকট দূর করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনায় বসার জন্য ভারতের উদ্দেশে বার্তা দিলেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গ্যাওয়ালি। তাঁর অভিযোগ, বেশ কয়েক বার বলা সত্ত্বেও এই বিষয়ে কাঠমান্ডুর প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি ভারত সরকার।
১৯৪৭ সালে ভারত, নেপাল ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পাদিত ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মোতাবেক, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নেপালের গোর্খা সৈন্যদের যোগদানের বিষয়টি বর্তমানে ‘তামাদি’ বলেও উল্লেখ করেছেন গ্যাওয়ালি। এই বিষয়ে তিনি ভারত ও ব্রিটেনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাবও দিয়েছেন।
গতকাল নেপাল ইন্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস আয়োজিত এক ওয়েবিনারে নেপালের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যা সংঘর্ষে পরিণত হওয়ার আগে আমরা এখনও ভারতকে সমাধানের জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বৈঠকে বসতে বলছি। আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সংযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গ্যাওয়ালির অভিযোগ, কোভিড অতিমারীর দোহাই দিয়ে নেপালের প্রস্তাব এড়িয়ে গিয়েছে ভারত, যদিও এই সময়েই তারা অস্ট্রেলিয়া, চিন ও আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ চালিয়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা নিয়ে সীমান্ত বিবাদ ভারত-নেপাল সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ ফাটল তৈরি করেছে। তিব্বতে মানস সরোবর তীর্থযাত্রীদের জন্য ভারতের তৈরি সড়ক নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত হয়। জবাবে নতুন প্রকাশিত মানচিত্রে ওই তিন স্থান নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে নেপাল সরকার।
তবে গ্যাওয়ালির মতে, সীমান্ত নিয়ে বিতর্কের প্রভাব ভারত ও নেপালের মধ্যে অন্যান্য বিষয়ে কোনও প্রভাব ফেলেনি। বিশেষ করে পণ্য সরবরাহ ও নেপালে ভারত সরকারের অর্থ বিনিয়োগে নির্মীয়মাণ প্রকল্পগুলিতে সীমান্ত বিতর্কের আঁচ এখনও লাগেনি বলেই তিনি দাবি করেছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘সামগ্রিক অংশগ্রহণ থেকে সীমান্ত সমস্যাকে আমরা বিচ্ছিন্ন রাখতে সফল হয়েছি এবং আমার মনে হয় ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর সঙ্গে এ ভাবেই ব্যবহার করা উচিত।’