দীর্ঘ ১১ মাস পর নেপাল তাদের প্রবেশদ্বার খুলে দিল। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য এই পথ বন্ধ ছিল। ফলে ভারতীয়রা এই পথ ধরে নেপালে যেতে পারছিলেন না। এখন সীমান্তের সেই গাদ্দা চক খুলে দেওয়া হয়েছে। নেপালের পশ্চিম প্রান্তে বানবাসা এলাকা। সেখানের চম্পাওয়াত দিয়ে ভারতীয়রা নেপালে আসেন এবং একই পথে ফিরে যান। নেপালের বাসিন্দারাও ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। করোনা আবহে এই পথ বন্ধ করা ছিল। আজ (মঙ্গলবার) তা খুলে গেল।
এক আধিকারিক জানান, নেপালে এই পথ ধরে প্রবেশের সময় লাগবে রেজিস্ট্রেশন করতে। একইসঙ্গে করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত মার্চ থেকে এই সীমান্তের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ভারত সরকার অবশ্য নেপালের বাসিন্দাদের এখানে আসার জন্য কিছু ছাড় দিয়েছিল। এই বিষয়ে তানকপুরের মহকুমাশাসক হিমাংশু কাফালটিয়া বলেন, ‘ভারতীয়দের জন্য নেপাল ফের এই সীমান্তের পথ খুলে দিয়েছে। তবে এখানে প্রবেশের সময় নাম, ঠিকানা নথিভুক্ত করা এবং করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। রেজিস্ট্রশনের জন্য নেপাল একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। তার মাধ্যমেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন ভারতীয়রা। আবার সীমান্তে এসেও সশরীরে করাতে পারবেন। দুটো ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে।’
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই এই অ্যাপ নিয়ে এসেছে নেপাল। এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই অ্যাপে নিজের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, কীভাবে প্রবেশ করবেন, তা উল্লেখ করতে হবে। একইসঙ্গে প্রবেশের সময় দেখাতে হবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। করোনার সংক্রমণ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া বেসরকারি যানবাহন প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সীমান্তে রাখা হয়েছে নেপালের সশস্ত্র বাহিনী। তারাই এখানে দায়িত্ব নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবে।
নেপালের স্থানীয় ব্যবসায়ী ইউনিয়নের প্রাক্তন সভাপতি ভারত ভাণ্ডারি বলেন, ‘এটা অত্যন্ত সুখের বিষয় যে নেপাল সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ এখানকার ৮০ শতাংশ বাণিজ্য ভারতীয় ক্রেতাদের উপর নির্ভরশীল। করোনা পরিস্থিতির জন্য ভারতীয়রা এখানে আসতে পারতেন না। সেখানে এই ছাড় দেওয়া খুবই ভালো কাজ হয়েছে।’ স্থানীয় বাসিন্দা বিনোদ কালা বলেন, ‘নেপাল সরকার ভারতের বেসরকারি যানবাহনকে ছাড় দিলে আরও ভালো হত। এতে সময়ও বাঁচবে। বাণিজ্যও বাড়বে।’