নয়া মানচিত্র ব্যবহারের প্রক্রিয়ার পর এবার নাগরিকত্ব আইনে সংশোধনের সুপারিশ করল নেপালের গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় কমিটি। যা ভোটাভুটির জন্য সংসদে পেশ করা হবে। যে সংশোধনের আওতায় নেপালি ব্যক্তিকে বিয়ে করলে নেপালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য বিদেশি মহিলাদের সাত বছর অপেক্ষা করতে হবে।
যদিও সেই সংশোধনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে নেপালের প্রধান বিরোধী দলগুলি। তাদের বক্তব্য, নয়া সংশোধনীর ফলে প্রবল সমস্যায় পড়বেন মাধেসের বাসিন্দারা। কারণ সেই এলাকায় এখনও সীমান্ত বিবাহ প্রচলিত আছে। নেপালি কংগ্রেস এবং জনতা সমাজবাদী পার্টির মতে, এরকম আইনের ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে যে 'রুটি এবং বেটির সম্পর্ক' আছে, তাতেও প্রভাব পড়তে পারে। দু'দলই বিয়ের পরই নাগরিকত্ব প্রদানের পক্ষে মুখ খুলেছে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ নেপালে হিমালয়ের পাদদেশে তরাই অঞ্চলের বাসিন্দারা মাধেসি হিসেবে পরিচিত। যে এলাকার সঙ্গে ভারতের বিহারের সীমান্ত রয়েছে।
নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনী বিলটি ইতিমধ্যে রবিবার সংসদে নথিভুক্ত করা হয়েছে। সংশোধনীতে নেপালের নাগরিকদের বিয়ে করা বিদেশি মহিলারা নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত সাতটি অধিকার প্রদান করা হয়েছে। সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বসবাসের ছাড়পত্রও পাবেন তাঁরা। একইসঙ্গে ব্যবসা করা, কোম্পানি, পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সংশোধনীর ব্যাপক সমালোচনা করেছে বিভিন্ন মহিলা সংগঠন। তাদের বক্তব্য, যে সচিবালয়ে একজনও নারী নেই, তাদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যা মূলত মহিলাদের জন্য। পাশাপাশি সংশোধনীতে বিদেশি পুরুষদের বিষয়ে কিছু বলা নেই। বর্তমানে নেপালি মহিলাকে বিয়ের পর নেপালের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কোনও বিদেশি ব্য়ক্তিতে ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সেজন্য সংশোধনীতে সমতার দাবি জানিয়েছে মহিলা সংগঠনগুলি।