সকাল থেকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে কাঠমান্ডুতে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। তারইমধ্যে ভারতীয় ভূ-খণ্ডকে নেপালের মানচিত্রে যুক্ত করার সংবিধান সংশোধনী বিল সংসদের নিম্বকক্ষে পাশ করিয়ে নিল প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকার। যা ভারত এবং নেপালের সীমান্ত বিবাদ দীর্ঘস্থায়ী করার পথে আরও সুনিশ্চিত করল মত কূটনৈতিক মহলের।
ভারতীয় ভূ-খণ্ডের লিমপিয়াধুর, লিপুলেখ এবং কালাপানিকে যুক্ত করে নয়া মানচিত্র আগেই প্রকাশ করেছে ওলি প্রশাসন। সংবিধানের তিন নম্বর শিডিউলে অন্তর্ভুক্ত নেপালের রাজনৈতিক মানচিত্রকে সংশোধন করার জন্য দ্রুত বিলও পেশ করা হয়। আর সেই বিল পাশ করিয়ে নিতে যে ওলি প্রশাসন কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তা বোঝা যায় বৃহস্পতিবারের সিদ্ধান্তে। সেদিন জানানো হয়, নয়া বিল সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ করতে শনিবার বিশেষ অধিবেশন বসবে। সেইমতো ছুটির দিনেই সংসদের নিম্নকক্ষে বিল পাশ করিয়ে নেয় সরকার।
কূটনৈতিক মহলের মতে, দীর্ঘদিন ধরেই দলের মধ্যে কোণঠাসা ওলি। জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে ভারত-বিরোধী মনোভাব আরও উস্কে দিয়ে দলের মধ্যে নিজের স্থান পোক্ত করলেন তিনি। একইসঙ্গে ঘরোয়া রাজনীতিতেও ওলির ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হল বলেই মত কূটনৈতিক মহলের। আর ওলি যে সেই চালে কতটা সহজ হয়েছে, তা সংসদের দুটি ঘটনায় স্পষ্ট। এক, সংসদে উপস্থিত ২৫৮ জন আইনপ্রণেতাই বিলে সমর্থন জানিয়েছেন। দুই, দীর্ঘ চার ঘণ্টার আলোচনায় ভারতের থেকে ওই তিনটি অঞ্চলের দখল নেওয়ার জন্য ওলিকে পরবর্তী পদক্ষেপ করার আর্জি জানান একাধিক আইনপ্রণেতা।
শনিবারের বিল পাশ নিয়ে ভারতের তরফে আপাতত কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে এক ভারতীয় আধিকারিক ইঙ্গিত দিয়েছেন, নেপাল যে সীমান্ত বিতর্ক তৈরি করছে, সেই বিষয়টি নজরে রেখেছে নয়াদিল্লি এবং ভারত-বিরোধী ভাবাবেগ উসকে দেওয়ার চেষ্টাতেও হতাশ নরেন্দ্র মোদী সরকার।