অযোধ্যা নেপালে, ভগবান রাম নেপালি, এই কথা বলে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। শুধু ভারত নয়, নেপালেও অত্যন্ত সমালোচিত হন ওলি। বেগতিক দেখে এবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সাফাই দিল বিদেশমন্ত্রক। কোনও ভাবেই অযোধ্যাকে অসম্মান বা তার তাৎপর্যকে খাটো করার জন্য একথা বলা হয়নি বলেই জানিয়েছে নেপালের বিদেশমন্ত্রক।
তারা জানিয়েছে কেপি শর্মা ওলির মন্তব্য রাজনৈতিক ছিল না। কোনও ব্যক্তির ভাবাবেগকে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশে এগুলি বলা হয়নি বলেই নেপালের দাবি। ওলি বলেছিলেন যে অযোধ্যা হল নেপালে স্থিত গ্রাম ও রামচন্দ্র নেপালি। তখন যখন কোনও যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল না, তখন ভারতে স্থিত অযোধ্যায় বসে নেপালের জনকপুরের কথা তিনি জানতে পারলেন কি করে, সেই প্রশ্নও তোলেন ওলি।
নেপালের বিদেশমন্ত্রক অবশ্য এই বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। ওলি যেখানে দাবি করছেন যে ভারত নেপালের সংস্কৃতি হরপ করে নিতে চাইছে নকল অযোধ্যা বানিয়ে, তাঁর বিদেশমন্ত্রকের বক্তব্য অনেক সাবধানী। তাঁরা বলেছে যে ভগবান রাম সম্পর্কে অনেক মিথ ও রেফারেন্স আছে। সেই প্রসঙ্গই তুলেছিলেন ওলি এটা বলার জন্য যে অনেক পড়াশোনা ও গবেষণা করার অবকাশ আছে রামায়ণে বর্ণিত ভৌগলিক অংশে যাতে এই অত্যন্ত সমৃদ্ধ সভ্যতা সম্পর্কে বিষদে জানা যায়।
ওলির বক্তব্যকে সমালোচনা করে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই বলেন আধা কবির রচিত নয়া রামায়ন শুনে সরাসরি বৈকুন্ঠধামে যাওয়া যাক! বিজেপির কেশব প্রসাদ মৌর্য বলেন যে ওলি ভুলে গেছেন যে নেপাল তখন আর্যবর্তের আওতায় ছিল। কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি বলেন যে চিনের শেখানো বুলি আওড়াচ্ছেন ওলি। গত কয়েক মাস ধরে ভারতের সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্ক খারাপ হয়েছে কেপি ওলির। এর জেরে প্রায় নিজের কুরসি হারানোর মুখে তিনি। সেই কারণেই হয়তো নতুন বিতর্ক আর চাইছেন না ওলি। ফলে মাঠে নামতে হল বিদেশমন্ত্রককে বেঁফাস মন্তব্যের ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে।