নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। শ্লেষ মিশ্রিত আক্রমণের মাধ্যমেই বিরোধীদের জবাব দিলেন মোদী। ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিচয় দিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উক্তিও ব্যবহার করলেন।
সোমবার রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ভাষণের উপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবের সময় জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক পরিবেশের মতো বিষয়ে মুখ খোলেন মোদী। নিজের আমলে ভারতের গণতান্ত্রিক পরিবেশ যে ‘ভালো’ আছে, তা বোঝানোর চেষ্টা করেন। একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাংলায় বাকস্বাধীনতা এবং কংগ্রেসকে জরুরি অবস্থা নিয়ে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি। পরে নেতাজির একটি উক্তিও তুলে ধরেন।
মোদী বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্র কোনওভাবেই পাশ্চাত্য প্রতিষ্ঠান নয়, এটা একটা মানবিক প্রতিষ্ঠান। ভারতে ইতিহাসে যে গণতান্ত্রিক সংস্থা ছিল, সেরকম প্রচুর উদাহরণ আছে। প্রাচীন ভারতে গণতন্ত্রের ৮১ টি উল্লেখ পেয়েছি। চারদিক থেকে যখন ভারতের জাতীয়তাবাদের উপর যে হামলা হচ্ছে, সে বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করা জরুরি। ভারতের জাতীয়তাবাদ না তো সংকীর্ণ, না তো স্বার্থান্বেষী, না তো আক্রমণাত্মক, এটা সত্যম-শিবম-সুন্দরম মূল্যবোধের দ্বারা অনুপ্রাণিত।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘এটা আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর উক্তি।’ 'দুঃখপ্রকাশ' করে মোদী জানান, দুর্ভাগ্যজনকভাবে নেতাজির ভাবনা, বিচার, আদর্শ ভুলে যাওয়া হয়েছে। পরিণামস্বরূপ, নিজেরাই নিজেদের দুষে যাওয়ার প্রবণতা আছে।
রাজনৈতিক মহলের মত, মোদী একেবারে বুঝেশুনেই নেতাজির উক্তি ব্যবহার করেছেন। আর নেতাজিকে ‘আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী’ হিসেবে উল্লেখ করে কংগ্রেসকেই পালটা বার্তা দিতে চেয়েছেন।