জন্মস্থানে এসে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। জানালেন, তাঁর মতো ‘সাধারণ ছেলে’ যে একদিন দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হবেন, তা কখনও স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। সেজন্য গ্রামবাসীদেরও ধন্যবাজ জানালেন।
তিনদিনের সফরে কানপুরে এসেছেন রাষ্ট্রপতি। রবিবার কানপুর দেহাত জেলায় নিজের গ্রাম পারাউনখে আসেন। সেখানে নিজের পূর্বপরিচিত লোকজন, পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সংবিধান প্রণেতারও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। তাঁরা যেভাবে উৎসর্গ করেছেন, তার জন্য সম্মান জানান। ‘জন অভিনন্দন সমারোহ’-এ ভাষণের সময় আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। বলেন, ‘স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি যে আমার মতো গ্রামের এক সাধারণ ছেলে দেশের সর্বোচ্চ পদে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবে। কিন্তু আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটা সম্ভবপর করে তুলেছে।’ সেই সময় যেন আবেগ দলা পাকিয়ে আসছিল রাষ্ট্রপতির গলায়।
রবিবার নিজের জন্মভিটেতে পৌঁছে মাথা নত করে মাটি স্পর্শ করেন। যে দৃশ্য দেখে আবেগে ভেসে যান গ্রামবাসীরা। নিজের উত্থানের জন্য সেই গ্রামবাসীদেরও ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি। বলেন, ‘আমি আজ যেখানে পৌঁছেছি, তার কৃতিত্ব প্রাপ্য এই গ্রামের মাটিরও। আপনাদের (গ্রামবাসীদের) ভালোবাসা এবং আশীর্বাদও সেই কৃতিত্বের অধিকারী।’ সঙ্গে তিনি জানান, পারাউনখ গ্রামের মাটির যে গন্ধ, তা সর্বদা মনে থেকে গিয়েছে। রাষ্ট্রপতির কথায়, ‘আমার কাছে পারাউনখ শুধুমাত্র একটি গ্রাম নয়। এটা আমার মাতৃভূমি। যেখান থেকে দেশকে সেবা করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। সেই অনুপ্রেরণার কারণেই আমি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট হয়ে রাজ্যসভায় পৌঁছাতে পেরেছি। রাজ্যসভা থেকে আমি রাজভবনে গিয়েছি। সেখানে রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে গিয়েছি।’