আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। উঠেছে। আর সেই হামলার পিছনে বিজেপি আছে বলেও অভিযোগ তুলছে আপ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কেজরিওয়াল একটি প্রচার কর্মসূচিতে বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁর উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। আম আদমি পার্টি এই হামলার দায় বিজেপির উপর চাপিয়েছে। আর তা নিয়ে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। নয়াদিল্লির শাসকদলের অভিযোগ, নির্বাচনের প্রাক্কালে কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করে আপকে চাপে ফেলতে চাইছে বিজেপি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
নয়াদিল্লির বিকাশপুরীর এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে আপ আক্রমণ শানালেও সেটা মানতে রাজি নন পদ্মশিবির। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে দল জড়িত নয়। এই আক্রমণ করেছেন নয়াদিল্লির আবাসনের বাসিন্দারা। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও অভিযোগ এই মর্মে জমা পড়েনি। এমনকী এই ঘটনার কোনও ভিডিয়ো পর্যন্ত মেলেনি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সম্ভবত দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। ঠিক তার আগে প্রচারে জোর দিতে শুরু করেছেন আপ নেতা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, শুক্রবারের কর্মসূচিতে একদল দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছোট্ট মেয়ের চিকিৎসা না করে চিকিৎসকরা ক্রিকেট খেলছিলেন, উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু শিশুর
এই ঘটনা নিয়ে রাজধানীর বুকে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রচারে বিজেপি ভয় পেয়ে এমন কাজ করেছে বলে আপ দাবি করছে। জেলে ঢুকিয়েও কেজরিওয়ালের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারেনি। তাই এখন হামলা করা হয়েছে বলে আপ নেতৃত্বের দাবি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী আতিশী বলেন, ‘ওরা জানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল কে ভোটে হারানো সম্ভব নয়। তাই নোংরা পথ ধরে তাঁর জীবনে হুমকি নামিয়ে আনতে চাইছে। প্রথমে বিজেপি চেষ্টা করল মিথ্যে মামলায় জেলে ঢুকিয়ে ক্ষতি করতে। আর এখন প্রাণনাশের চেষ্টা করা হল।’ আর বর্ষীয়ান আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের বক্তব্য, ‘ইডি, সিবিআই ও জেল দিয়ে যখন কাজ হল না। তাই বিজেপি কেজরিওয়ালের উপর হামলার পথ নিয়েছে। ওঁর কিছু হলে বিজেপি দায়ী থাকবে।’
এছাড়া এই ঘটনা নিয়ে একে একে আপ নেতা–মন্ত্রীরা ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন। এই আবহে আসরে নেমে পড়ল বিজেপিও। দিল্লির বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেভার কথায়, ‘মানুষ যখন নোংরা জলের অভিযোগ করতেন তখন বিরক্ত হতেন অরবিন্দ। বাংলোয় থাকাকালীন তাঁর রাস্তায় হাঁটার অভ্যাস চলে গিয়েছিল। মানুষ যখন তাঁকে প্রশ্ন করতেন তখন সেটাকে হামলা বলে ব্যাখ্যা করতেন। দিল্লির মানুষকে লুঠ করা হয়েছে বিদ্যুৎ, জল এবং বাস নিয়ে।’ বিজেপি সাংসদ কমলজিৎ শেরাওয়াতের সাফাই, ‘এই সপ্তাহে আমরা দেখেছি মাটিয়ালা এবং সঙ্গম বিহারের বিধায়ককে মানুষ পিটিয়েছে। কেজরিওয়ালের ভাবা উচিত কেন এমন হচ্ছে।’