নয়া দিল্লি থেকে সৌদি আরবের জেদ্দাগামী একটি বিমান জরুরি অবতরণ করল পাকিস্তানের করাচিতে। মেডিক্যাল এমার্জেন্সির কারণে বিমানটি করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। পরে বিমানটি আবার ফিরে আসে নয়া দিল্লিতে। এরফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন বিমানে যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, বিমানের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক ভারতীয় যাত্রী। সেই কারণে বিমানটিকে করাচিতে অবতরণ করেন চালক।
আরও পড়ুন: বিমানের খাবারে নেচে বেড়াচ্ছে ইঁদুর! যাত্রী চেঁচাতেই জরুরি ল্যান্ডিং করল বিমান
বিমানসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটি নয়া দিল্লি থেকে উড়ান শুরু করার পর পাকিস্তানের আকাশ সীমায় পৌঁছতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫৫ বছর বয়সি এক পুরুষ যাত্রী। তখন বিমান কর্মীরা তৎপরতার সঙ্গে যাত্রীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। যাত্রীকে অক্সিজেন দেওয়ার পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা শুরু করেন তারা। তবে তারপরেও যাত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন মানবিক ভিত্তিতে বিমান চালক করাচি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সেখানে মেডিক্যাল এমার্জেন্সি দেখিয়ে জরুরি অবতরণের অনুমতির জন্য অনুরোধ করেন।সেই অনুমতি পাওয়া মাত্রই বিমানটি করাচির দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি।
এদিকে, যাত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে বিমানবন্দরে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল পাকিস্তান সিভিল এভিয়েশন অথরিটির একটি মেডিক্যাল টিম। তারা বিমানে উঠে যাত্রীকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করে। জানা যাচ্ছে, যাত্রী একজন ভারতীয় নাগরিক এবং মুসলিম। তাঁকে ওষুধও সরবরাহ করা হয়। এই সমস্যা সমাধানের পরে বিমানটি করাচি থেকে উড়ান শুরু করে। তবে জেদ্দায় যাওয়ার পরিবর্তে বিমানটি পুনরায় নয়া দিল্লিতে ফিরে আসে।
প্রসঙ্গত, জরুরি পরিস্থিতিতে এটিই আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রথম উদাহরণ নয়। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক না থাকলেও এর আগে বেশ কয়েকবার ভারতীয় বিমান করাচিতে অবতরণ করেছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ইন্ডিগোর জেদ্দা থেকে হায়দ্রাবাদগামী বিমান পাকিস্তানের করাচিতে জরুরি অবতরণ করেছিল। সেক্ষেত্রেও একজন যাত্রী বিমানে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মেডিক্যাল এমার্জেন্সি দেখিয়ে বিমানটি সেখানে জরুরি অবতরণ করেছিল। তবে শেষমেষ যাত্রীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বিমানটি থাকার পরে পুনরায় উড়ান শুরু করে এবং হায়দরাবাদে পৌঁছয়।