পাটনার কাছে নয়াদিল্লি-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসে ডাকাতির অভিযোগ উঠল। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০ জনের সশস্ত্র ডাকাতের একটি দল ট্রেনের উপর চড়ে যাত্রীদের জিনিসপত্র লুঠ করেছে বলে অভিযোগ উঠল। যদিও ডাকাতির বিষয়ে আপাতত কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছে পূর্ব রেল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে ফার্স্টপোস্টের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শনিবার (ইংরেজি মতে রবিবার) রাত তিনটে নাগাদ পাটনার কাছে রাত একটা নাগাদ পাটনায় আসার কথা, তবে একটি জায়গায় ডাউন ১২৭৪৪ নয়াদিল্লি-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেস দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সেইসময় ট্রেনের ছ'টি থেকে সাতটি বগিতে উঠে পড়ে ২০ জনের সশস্ত্র ডাকাতের একটি দল। ট্রেনে লুঠতরাজ চালানো হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন ট্রেন থামিয়েছেন, তা নিয়ে চালককে প্রশ্ন করেছিলেন যাত্রীরা। চালক জানিয়েছেন যে ট্রেনের চেন টানা হয়েছিল। সেজন্য থামিয়েছিলেন ট্রেন। দুরন্ত এক্সপ্রেসে থাকা এক যাত্রীকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাটনা পর্যন্ত ট্রেনে জিআরপির আধিকারিকরা ছিলেন। পাটনায় ট্রেন থেকে নেমে যান তাঁরা। সঙ্গে যাত্রীদের নিজেদের ফোন এবং চার্জার লুকিয়ে রাখার পরামর্শ দেন বলে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
হাওড়া থেকে জিআরপির এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'পাটনার কাছে একটি ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজন যাত্রীর সামগ্রী চুরি করা হয়েছে। পাটনায় জিআরপির কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন কয়েকজন যাত্রীরা। কিন্তু এই ঘটনাটি আমাদের এলাকায় ঘটেনি। আমরা যে অভিযোগ পেয়েছি, তা দানাপুর জিআরপির কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।'
তবে এই প্রথম নয়, মাসখানেক আগেও বন্দুক ঠেকিয়ে একই কায়দায় নয়াদিল্লি-হাওড়া দুরন্ত এক্সপ্রেসে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বিহারের সেই পুরনো ‘জঙ্গলরাজ’ ফিরে এল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: Birbhum Incident: চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিলেন এক যাত্রী অন্যজনকে, তারাপীঠে প্রণাম ঠুকলেন অভিযুক্ত
বিষয়টি নিয়ে ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’-কে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেছেন, ‘এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও খবর নেই। এরকম ঘটনা ঘটলে (সাধারণত) আমরা এতক্ষণে খবর পেয়ে যাই।’