ওড়িশা সরকার বুধবার রাজ্যের পাবলিক পরীক্ষায় অনিয়ম মোকাবিলায় একটি খসড়া বিল অনুমোদন করেছে যা আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপিত হবে।
মন্ত্রিসভা প্রস্তাবিত ওড়িশা পাবলিক এক্সামিনেশন (প্রিভেনশন অফ আনফেয়ার মিনস) বিল, ২০২৪ অনুমোদন করেছে, যা পাবলিক সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্য কর্মচারী নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষার সময় কোনও অনিয়মের জন্য তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার কথা বলেছে।
এই বিলে ছদ্মবেশ, নকল, পরীক্ষা প্রক্রিয়া ব্যাহত করা, নির্ধারিত সময়ের আগে পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করা এবং পরীক্ষার হলে অননুমোদিত প্রবেশের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিধান থাকবে এবং জামিন অযোগ্য ও আপোষযোগ্য অপরাধ করা হবে।
প্রস্তাবিত আইনটি ওড়িশা পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ওপিএসসি), ওড়িশা স্টাফ সিলেকশন কমিশন (ওএসএসসি), ওড়িশা অধস্তন স্টাফ সিলেকশন কমিশন (ওএসএসসি), সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড, ওড়িশা পুলিশ সিলেকশন বোর্ড, ওড়িশা শিক্ষা (রাজ্যের জন্য নির্বাচন বোর্ড) বিধি, ১৯৯২ এর অধীনে গঠিত রাজ্য নির্বাচন বোর্ড, ওড়িশা যৌথ প্রবেশিকা পরীক্ষা দ্বারা পরিচালিত পাবলিক পরীক্ষাগুলি অন্তর্ভুক্ত করবে, ওড়িশা পেশাদার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (ভর্তি নিয়ন্ত্রণ এবং ফি নির্ধারণ) আইন, ২০০৭, রাজ্য সরকারের বিভাগগুলি এবং তাদের সংযুক্ত এবং অধীনস্থ অফিসগুলি কর্মী নিয়োগের জন্য, রাজ্য সরকার নিযুক্ত বা গঠিত নির্বাচন সংস্থা / কমিটি।
পরিষেবা প্রদানকারীকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা আরোপের জন্য দায়ী করা হবে এবং পরীক্ষার আনুপাতিক ব্যয়ও এই পরিষেবা সরবরাহকারীর কাছ থেকে আদায় করা হবে। জরিমানা পরিশোধ না করলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ২০২৩-এর বিধান অনুসারে অতিরিক্ত কারাদণ্ড আরোপ করা হবে।
১৯৮৮ সালে, ওড়িশা সরকার বিভিন্ন স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা সংস্থা দ্বারা পরিচালিত পরীক্ষায় অন্যায্য অনুশীলন বন্ধ করার জন্য ওড়িশা পরীক্ষা আচরণ আইন প্রণয়ন করে। তবে এই আইনে তিন মাসের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
এই নতুন খসড়ার জেরে মনে করা হচ্ছে ওড়িশায় পরীক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা হল একাধিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসতে পারে পরীক্ষা ব্যবস্থায়।
তবে শুধু ওড়িশা বলে নয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্য়েই এই পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানা অস্বচ্ছতার অভিযোগ। বহু রাজ্যেই এনিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।