শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে বুধবার নতুন শিক্ষানীতিতে (New Education Policy) বেশ কিছু নতুন সংশোধন ঘোষণা কর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস থেকে চালু হতে চলেছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। তাই তার আগে এই সংশোধন কার্যকর করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিষয়ে এ দিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এবং কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক জরুরি ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ১ মে নতুন কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নয়া শিক্ষানীতির খসড়া প্রস্তুত করেছেন প্রাক্তন ইসরো প্রধান কে কস্তুরীরঙ্গনের নেতৃত্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি। একাধিক রাজ্যে হিন্দি চালু করা নিয়ে দীর্ঘ কাল ধরে যে ভাবনাচিন্তা চলেছিল, এবার তা সঠিক ভাবে প্রয়োগ করার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী জাতীয় সংশোধিত শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করার পরে প্রশান জানায়, শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশব্যাপী সমতা আনার পাশাপাশি নতুন জাতীয় নীতির মাধ্যমে উচ্চ মানের শিক্ষা ব্যবস্থার নাগাল পাওয়া, প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থায় বহুভাষার ব্যবহার, একুশ শতকীয় দক্ষতা, শিল্প ও ক্রীড়াকে শিক্ষানীতির অংশ করা এবং সেই সঙ্গে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা ও শিক্ষার প্রসারও গুরুত্ব পেয়েছে সংশোধিত শিক্ষা নীতিতে।
স্কুলশিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষা স্তরে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর বিষয়েও সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটিতে। তবে কোভিড অতিমারীর জেরে পরিস্থিতি পরিবর্তনের যে পাঠ পাওয়া গিয়েছে, তা নয়া শিক্ষা নীতিতে স্থান পেয়েছে কি না, তা নিয়ে আগে থেকে কিছু জানাতে চাননি শিক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা। যদিও ডিজিটাল পদক্ষেপের ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
নতুন শিক্ষা নীতিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, এবার থেকে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের নাম পরিবর্তন করে তা কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক করা হোক।