এবার থেকে সেন্ট্রাল ভিস্তার নির্মাণের সাইটে কোনও ছবি বা ভিডিয়ো। নয়া নির্দেশিকায় এমনটাই জানাল সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট। তাছাড়া অপ্রয়োজনীয় কোনও মানুষকেও ভিস্তার নির্মাণ সাইটে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। এছাড়া করোনা কালে নির্মাণ সাইটে যাঁরা ঢুকবেন, তাঁদের পিপিই কিট পরে ঢোকা বাধ্যতামূলক বলেও জানানো হয়েছে।
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নয়া টেন্ডারের নথিতে লেখা রয়েছে, 'ফেস মাস্ক, হাতের গ্লাভস সহ পুরো পিপিই পরলে তবেই ঢোকা যাবে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নির্মাণের সাইটে। যদি কেউ পুনর্ব্যবহারযোগ্য পিপিই কিট ব্যবহার করলে তা বারবার ভালো করে ধুতে হবে এবং তা অন্য কারোর সঙ্গে ভাগ করা যাবে না। নির্মাণ সাইটে ছবি তোলা বা ভিডিয়োগ্রাফি করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়র ইন চার্জ সাইটে ছবি বা ভিডিয়ো তুলতে পারবেন। কন্ট্র্যাক্টরদের নিশ্চিত করতে হবে যাতে অপ্রয়োজনীয় কোনও ব্যক্তি সাইটে না ঢুকতে পারে।'
নয়া এই টেন্ডারের কাজের সম্ভাব্য খরচের পরিমাণ ৩ হাজার ৪০৮ কোটি টাকা। এই টেন্ডারের বরাত পাওয়া সংস্থাকে দিল্লির প্রাণকেন্দ্রে থাকা জামনগর হাউজটিকে ধ্বংস করতে হবে। তাছাড়া এই টেন্ডারের মাধ্যমে আরও দুটি স্টেজে তিনটি বিল্ডিং নির্মাণ করতে হবে। সেন্ট্রাল ভিস্তার পুরো প্রকল্পটি নির্মাণ করতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে মোট ১০টি সচিবালয়ের বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে একসঙ্গে ৭০ হাজার সরকারি কর্মী এখানে কাজ করতে পারেন।
এই প্রকল্পের জন্য ১০০ বছর পুরোনো ২০টি জাম গাছ কাটা হবে। টাটা সন্স ছাড়াও এই প্রকল্পে কাজ করবে এল অ্যান্ড টি, শাপুরজি পলোঞ্জি গ্রুপের মতো নির্মাণ সংস্থা। ২০২২ সালে দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। তবে অভিযোগ উঠেছে, ভিস্তা প্রকল্পটি সর্বসাধারণের চলাচলের স্থানে নির্মিত হলেও সাধারণ মানুষের কোনও মতামত এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে নেওয়া হয়নি।