ভারতবর্ষের প্রত্যেকটি জেলা, শহর এবং রাজ্যকে এক করে রেখেছে ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেলের মাধ্যমে প্রতিমুহূর্তে হাজার হাজার মানুষ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করছেন। লোকাল ট্রেনে শুধু বসার সুবিধে থাকলেও দূরপাল্লার ট্রেনে থাকে রাত্রিবাসের সুবিধাও।
তবে দূরপাল্লার ট্রেনে প্রত্যেকটি কামরায় রাত্রিবাসের সুবিধা থাকলেও শুধুমাত্র এসি কামরা গুলিতে দেওয়া হয় বালিশ, চাদর এবং কম্বল। এগুলিকে একসঙ্গে বলা হয় বেড রোল। এর মধ্যে বালিশের ওয়ার এবং চাদরকে একসাথে বলা হয় ‘লিনেন’। এবার প্রত্যেকটি এসি কামরায় এই ‘লিনেন’-এর মান হতে চলেছে উন্নত।
(আরও পড়ুন: প্রাইভেট জেটে ১৬০০ কিমি ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ করবেন Starbucks CEO!
ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ড - এর বেঁধে দেওয়া মানের তুলনায় বাতানুকুল কামরাগুলির বালিশ, চাদর এবং কম্বলের মান যাতে কোনও ভাবে নিচু না হয়, সেই দিকে নজর রাখা হয় বিশেষভাবে। দেশ বিদেশের একাধিক নামিদামি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হয় এই বিষয় নিয়ে। এছাড়া যাত্রীরা, বিশেষ করে এসি কামরার যাত্রীরা কেমন ফিডব্যাক দেন, সেই বিষয় নিয়েও গুরুত্ব দেন ভারতীয় রেলের কর্মকর্তারা।
দূরপাল্লার ট্রেনে যে লিনেন ব্যবহার করা হয়, এবার তার মানের উন্নতির দিকে নজর দিতে চলেছেন ভারতীয় রেলের কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যেই রেল সুত্র থেকে খবর পাওয়া গেছে, নতুন যে উপাদান দিয়ে এবার বালিশের ওয়ার এবং চাদর তৈরি করা হবে, তা অনেক বেশি নরম এবং টেকসই হবে। খুব সহজেই সেগুলি দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারবে ফলে যাত্রীদের কোনও সমস্যা হবে না।
প্রসঙ্গত, দূরপাল্লার ট্রেনে যে বেড রোল দেওয়া হয়, তা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগের শেষ থাকে না। প্রায়শই শোনা যায়, বেড রোলে লেগে থাকে নোংরা দাগ, অপরিষ্কার থাকে সেগুলি। সাধারণত প্রত্যেক যাত্রার পরেই বেড রোল পাল্টে দেওয়াই নিয়ম, কিন্তু আদৌ তা হয় কিনা, সেটা নিয়ে বারবার যাত্রীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কোচ অ্যাটেনড্যান্টদের।
(আরও পড়ুন: এই পানশালায় খাবারের পাশাপশি মিলবে থাপ্পড়, লাথি, ঘুষি!)
যাত্রীদের বারংবার অপরিষ্কার বেড রোলের অভিযোগ পাওয়া যায় ঠিকই কিন্তু রেল সূত্র থেকে জানা যায়, গোটা দেশে দূরপাল্লার ট্রেনের বেড রোল পরিষ্কার করার জন্য মোট ৮০টি লন্ড্রি সেন্টার রয়েছে। গড়ে দুমাস পরপর কাচা হয় রেলের এসি কোচের কম্বলগুলিও। নতুন লিনেন ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে রাঁচি রাজধানী এক্সপ্রেস এবং বিলাসপুর রাজধানী এক্সপ্রেসে। নতুন বালিশের ওয়ার এবং চাদরের মান নিয়ে যাত্রা সন্তুষ্ট হলেই সবকটি দূরপাল্লার ট্রেনে নতুন ‘লিনেন’ ব্যবহার করা শুরু হয়ে যাবে।