প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বুধবার ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বিইএল) এর সঙ্গে ২,৯০৬ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যাতে স্থানীয়ভাবে তৈরি 'অশ্বিনী' নিম্ন-স্তরের পরিবহনযোগ্য রাডার দিয়ে আকাশের লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত ও ট্র্যাক করতে পারে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
'রাডারটি আকাশের লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাক করতে সক্ষম, উচ্চ গতির যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে মনুষ্যবিহীন আকাশযান এবং হেলিকপ্টারের মতো ধীর গতির লক্ষ্যবস্তু পর্যন্ত। এটি নেওয়ার ফলে আইএএফের অপারেশনাল প্রস্তুতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। জানিয়েছে মন্ত্রক।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ডিআরডিও) অধীনস্থ বেঙ্গালুরুর ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড রাডার ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট দেশিয়ভাবে এই রাডার তৈরি করেছে। এটি রাডারের জন্য প্রথম অর্ডার।
প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিংয়ের উপস্থিতিতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যিনি সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে বায়ুসেনার ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছিলেন।
মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, রাডার প্রোগ্রামটি বিদেশি সরবরাহকারীদের উপর নির্ভরতা হ্রাস করে প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ এবং স্থানীয় প্রতিরক্ষা শিল্প বাস্তুতন্ত্রের বিকাশে অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে।
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসআইপিআরআই) সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৫-১৯ থেকে ২০২০-২৪ সালের মধ্যে ভারতের অস্ত্র আমদানি ৯.৩ শতাংশ কমেছে। তবে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনের পর দেশটি এখনো বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ।
ভারতের অস্ত্র আমদানি হ্রাস এমন এক সময়ে এসেছে যখন নীতিগত পদক্ষেপের পিছনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশ স্থানীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদনের মূল্যে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে, এই সংখ্যাটি ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে এবং ২০২৫-২৬ সালে ১.৬ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আত্মনির্ভরশীলতা বাড়াতে ভারত বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও ব্যবস্থার ওপর পর্যায়ক্রমে আমদানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ, স্থানীয়ভাবে তৈরি সামরিক হার্ডওয়্যার কেনার জন্য পৃথক বাজেট তৈরি, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) ৪৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৪ শতাংশ করা এবং ব্যবসা আরও সহজ করা।