রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদী ইতিহাস ছুঁতে চলেছেন। জওহরলাল নেহরুর পরে এই প্রথম কোনও ভারতীয় পরপর তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। তবে ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের মতো এবারের মোদী সরকারের ভিত ততটা পোক্ত নয়। শরিকদের ওপর ভর দিয়ে রয়েছে এই সরকার। এই আবহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে টিডিপি। অন্ধ্রপ্রদেশে টিডিপি এবারে ১৬টি লোকসভা আসনে জিতেছে। তাদের জোটসঙ্গী জনসেনা জিতেছে ২টি আসনে। এই আবহে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দাবি জানিয়েছে টিডিপি। এই সবের মাঝে মন্ত্রীদের নামের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই তাঁদের মধ্যে থেকে দু'জনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলেন টিডিপির প্রাক্তন সাংসদ জয়দেব গাল্লা। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে তিনি তিনবারের সাংসদ রাম মোহন নাইডু এবং চন্দ্রশেখর পেমমাসানিকে শুভেচ্ছা জানান। (আরও পড়ুন: সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিবাদ থাকলে আর এই কাজ করতে পারবেন না সরকারি কর্মীর, বলছে আইন)
আরও পড়ুন: মোদী ৩.০-তে মন্ত্রী হবেন বিজেপির কারা? ২ বাঙালির খুলতে পারে ভাগ্য
আরও পড়ুন: ৬% সুদ সহ বকেয়া ফেরাতে হবে, সুপ্রিম নির্দেশিকায় কান লাল রাজ্য সরকারের!
এমনিতেই রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপির রাম মোহন নাইডু, হরিষ বালাযোগী, দগ্গুমালা প্রসাদরা মোদী ক্যাবিনেটে ঠাঁই পেতে পারেন। এর মধ্যে রাম মোহনকে শুভেচ্ছা জানান জয়দেব গাল্লা। এদিকে চন্দ্রশেখর পেমমাসানি প্রতিমন্ত্রী হচ্ছে বলে দাবি করে উল্লেখ করেন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায়। তাঁকেও শুভেচ্ছা জানান গাল্লা। এদিকে চন্দ্রবাবু নাইডু অন্ধ্রের জন্য একাধিক দাবি সামনে রেখেছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্ধ্রের পিছিয়ে পড়া ৭ জেলার জন্যে তিনি বিশেষ আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন। সঙ্গে অন্ধ্রের জন্য বিশেষ মর্যাদাবা, বিজওয়াড়া মেট্রোর জন্য ৫০ শতাংশ অর্থসাহায্যও নাকি চেয়েছিলেন নাইডু। (আরও পড়ুন: নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে নয়া মোড়, আচমকাই ভারত সফরে আসেন কানাডার গোয়েন্দা প্রধান)
আরও পড়ুন: ভারত-চিন সম্পর্কের ক্ষতে 'মলম' লাগাবে মোদী ৩.০? বেজিংকে নয়া বার্তা দিল্লির
রিপোর্ট অনুযায়ী, মোদী ৩.০ সরকারে ৭৮ থেকে ৮১ জন মন্ত্রী হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবাই আজ শপথগ্রহণ করবেন না। এনডিটিভির রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ প্রায় ৩০ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা, অর্থ মন্ত্রক এবং বিদেশ মন্ত্রক বিজেপির কাছেই থাকবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া শিক্ষা, সংস্কৃতি, তথ্যসম্প্রচার, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকও বিজেপি নিজের কাছেই রাখতে পারে। এদিকে জনসেনার প্রতিষ্ঠাতা পবন কল্যাণকে মন্ত্রী করার বিষয়ে আগ্রহী বিজেপি। তবে তিনি নিজে মন্ত্রী না হলে তাঁর দলের কোনও সাংসদকে হয়ত মন্ত্রী নাও করা হতে পারে।