মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সোমবার নিজেকে শিবসেনার প্রধান নেতা বা 'মুখ্য নেতা' হিসেবে অভিষিক্ত করলেন। পাশাপাশি বিদ্রোহীদের নিয়ে দলের একটি নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করার ঘোষণা করেছেন শিন্ডে। উদ্ধব ঠাকরে অবশ্য শিন্দের নতুন জাতীয় কার্যনির্বাহীতে শিবসেনার সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
সুপ্রিম কোর্টে বুধবার শিবসেনার অন্তর্দ্বন্দ্বের মামলার শুনানি হতে চলেছে। তবে সুপ্রিম শুনানির আগে দলের নিয়ন্ত্রণ দখল করার জন্য শিন্দের এই পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ দলের ১৯ সাংসদের মধ্যে ১২ জনই জাতীয় কার্যনির্বাহী ভেঙে পুনর্গঠন করার পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। শিবসেনার গঠনতন্ত্রে পার্টির প্রধানকে দল পরিচালনার জন্য নেতা এবং উপনেতারা সহায়তা করেন। শিন্ডের ‘প্রধান নেতা’ পদটি নতুন করে সৃষ্টি করা হয়েছে।
এদিকে উদ্ধব ঠাকরেকে দলের প্রধান হিসাবে বহাল রাখা হলেও এটা স্পষ্ট যে বিদ্রোহীরা তাঁকে নিছক এক ‘প্রতীক’ হিসাবে ব্যবহার করতে চান। শিন্দে বর্তমানে দলের সিংহভাগ বিধায়ক এবং সাংসদের সমর্থন পাচ্ছেন। দলের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি। এই নতুন ব্যবস্থা অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি ইতিমধ্যেই শিন্ডেকে শিবসেনার জাতীয় কার্যনির্বাহীর 'নেতা' পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন। এদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী রামদাস কদম ও প্রাক্তন সাংসদ আনন্দ রাও আদসুলকে বরখাস্ত করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। এই দুই নেতাই শিন্ডের নবগঠিত কার্যনির্বাহী কমিটিতে আছে।
এদিকে বিদ্রোহীদের জন্য তাঁদের গোষ্ঠীকে ‘আসল’ শিবসেনা প্রমাণ করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দলত্যাগ বিরোধী আইনের অধীনে বিধায়কদের একটি বিচ্ছিন্ন দল বিধানসভায় তাদের পৃথক অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। এই ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠীকে বিধানসভার অন্য একটি দলের সাথে একীভূত হতে হবে। তবে শিবসেনার বিদ্রোহী বিধায়কদের অধিকাংশই শিন্দের সঙ্গে থাকলেও অন্য কোনও দলে যোগ দিতে চান না। সঞ্জয় রাউতের অবশ্য দাবি, ‘ঠাকরেরা যেখানে, সেটাই আসল শিবসেনা।’