১০ বছর সেনায় ছিল শামসুদ্দিন জব্বর। এহেন জব্বরই নিউ অরলিন্সে বর্ষবরণের রাতে 'জঙ্গি' হয়ে উঠেছিল। আর শেষ পর্যন্ত পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে প্রাণ হারায় সে। না হলে এই হামলার ভয়াবহতা আরও বাড়তে পারত। আরও অনেকে প্রাণ হারাতে পারতেন। এই আবহে এবার জব্বরের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াইয়ের সময়কার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল। নিউ অরলিন্সে বার্বন রোডে সেই সময় হুড়োহুড়ি চলছে আতঙ্কিত মানুষের। তারই মধ্যে পুলিশ জব্বরকে খতম করতে অভিযান চালাচ্ছে। (আরও পড়ুন: এই মাসেই ফাঁসি, 'কথা বলার' আস্বাস, নিমিশার স্বামী বললেন- 'লাস্ট মিনিট পার্ডন...')
আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুকে কি রীতিমতো 'ভয়' পাচ্ছে ইউনুস সরকার? তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে...
এদিকে শামসুদ্দিন জব্বরের গাড়িতে আইইডি ডেটোনেটর ছিল বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এই আবহে সেই ডেটোনেটর ব্যবহার করে সেখানকার ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে বিস্ফোরণ ঘটাতে চেয়েছিল জব্বর। জানা গিয়েছে, কোয়র্টারের দু'টি ফ্রিজে সেই বিস্ফোরক রেখে এসেছিল জব্বর। এদিকে উত্তর হিউস্টনে জব্বরের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেখা মিলেছে বোমা তৈরির সরঞ্জাম। পেশায় আইটি বিশেষজ্ঞ জব্বরের 'ওয়ার্কস্টেশন' দেখে গোয়েন্দারা ধারণা করতে পেরেছেন যে, সে বাড়িতে বসেই বোমা তৈরি করত। প্রাক্তন এই মার্কিন সেনাকর্মীর বাড়ি রীতিমতো বোমা তৈরির কারাখানা ছিল। যা দেখে আতঙ্কিক হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এহেন জব্বর আগে কেন গোয়েন্দাদের 'নজরে' পড়েননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। (আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকল মায়ানমার সেনা সদস্যরা!)
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে হিন্দুদের BCS থেকে বাদ? এবার নয়া দাবি বাংলাদেশ সরকারের
উল্লেখ্য, এই জব্বর একটা সময়ে মার্কিন সেনায় ছিলেন। জব্বর আইটি বিশেষজ্ঞও বটে। আবার বিশ্বখ্যাত সংস্থা ডেলয়েটে বার্ষিক ১ লাখ ২০ হাজার ডলার বেতনের চাকরিও করত সে। তবে তা সত্ত্বেও সে অনেক দেনায় ডুবে ছিল বলে জানা গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর আইনজীবীকে এক ইমেল করে জব্বর দাবি করেছিল, তার বাড়ির ঋণের কিস্তি বাবদ ২৭ হাজার ডলার বকেয়া। এছাড়া ক্রেডিট কার্ডে ১৬ হাজার ডলার বরেয়া ছিল। এছাড়া গতবছর রিয়েল এস্টেট ব্যবসাতে ২৮ হাজার ডলার লোকসান করেছিল জব্বর। (আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়া ভিড়, HMPV সংক্রমণ ছড়াতেই চিনে ফিরল কোভিড-১৯ স্মৃতি!)
আরও পড়ুন: আন্দামান, মণিপুর… বাজেয়াপ্ত স্টারলিঙ্ক ডিভাইস নিয়ে তদন্ত, পদক্ষেপের পথে সরকার?
জানা গিয়েছে, জব্বর দু'বার বিয়ে করেছিল। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ২০২২ সালে। তার প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে জব্বরের সন্তানের কাস্টডি নিয়ে আইনি লড়াই চলছিল। এই আবহে ডেলয়েটে চাকরি, রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা, সেনায় কাজ করার অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও মানসিক ভাবে প্রবল চাপে ছিল সে। আর্থিক ভাবে এবং পারিবারিক ভাবে একের পর এক সমস্যায় জর্জরিত হয়েছিল জব্বর। এই কারণে সে একাকিত্বে ভুগতে থাকে। আর এফবিআই-এর ধারণা, সেখান থেকেই কট্টরপন্থার পথে পা বাড়িয়েছিল জব্বর।