পরিবর্তন ঘটতে চলেছে লকডাউন পরবর্তী রেলের সময়সারণিতে। আগের কোনও টাইমটেবিলের সঙ্গে মিল থাকবে না নতুন তৈরি এই সূচির।
নতুন সময়সারণিতে কোনও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের সময়, দাঁড়াবার স্টেশন, স্টেশনে দাঁড়ানোর মেয়াদ ইত্যাদির বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য থাকছে না। এর ফলে সুবিধা অনুযায়ী ট্রেন চলাচলের সময় এবং গন্তব্যে পৌঁছানোর পথে কোন কোন স্টেশনে তা থামবে, এই সমস্ত তথ্য প্রয়োজন মতো বদলে নেওয়ার সুযোগ থাকবে রেলের।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব জানান, রেলের সময়সারণিতে এই সমস্ত পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা আনা হচ্ছেই, তবে করোনা অতিমারীর কারণে তা বাস্তবায়িত করতে সময় লাগছে।
সূত্রে খবর, ট্রেনে ওঠা অথবা ট্রেন থেকে নামা যাত্রীর সংখ্যার উপর নির্ভর করে মধ্যবর্তী স্টেশনগুলিতে ট্রেন কত ক্ষণ বা আদৌ দাঁড়াবে কি না, তা ঠিক করবে রেল। বলা হয়েছে, ‘সপ্তাহে একদিন বা দুই দিন চলাচলকারী কয়েকটি ট্রেন বন্ধ করতে বেগ পেতে হবে না। রাজনৈতিক কারণে অতীতে বেশ কিছু স্টেশনে মেল-এক্সপ্রেস ট্রেন দাঁড় করানো বাধ্যতামূলক হয়েছিল।’
মধ্যবর্তী স্টেশনের সংখ্যা কমলে মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি আরও বাড়বে বলেই আশা করা হচ্ছে। যাদব জানিয়েছেন, নতুন রেলওয়ে টাইমটেবিলের আওতায় থাকবে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত ১৫১টি ট্রেনও।