ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নতুন করে স্বাস্থ্য কর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের নাম নথিভুক্তকরণের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ আসছিল, অনেকে স্বাস্থ্য কর্মীর পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন।এই অভিযোগ আসার পরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র।সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, নতুন করে স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নাম মথিভুক্ত করা যাবে না।তবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যাদের ইতিমধ্যে নাম নথিভুক্ত রয়েছে, তারা ভ্যাকসিনের ডোজ নিতে পারবে। এছাড়াও যে সব করোনা যোদ্ধাদের এখনও টিকাকরণ হয়নি তারা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন। কিন্তু আলাদা করে রেজিস্ট্রেশন আর ফের করা হবে না।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ সব রাজ্যকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যাকসিনেশন সেন্টার থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, অনেকেই স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধার ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন।কোভিড বিধি না মেনেই তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রথম সারির যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান ২৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে, যা অস্বাভাবিক।গত শনিবার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে স্বাস্থ্য কর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের আর নতুন করে নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
সরকারের তরফে ইতিমধ্যে প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের বেশি নাগরিকদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।এর আগে সারা দেশ জুড়ে প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি থেকে। তখন থেকে প্রথমে শুধুমাত্র স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রথন সারির যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল।এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে ৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের বেশি সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হলেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশের সব বয়সি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করতে হবে যাতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউকে রোখা যায়।এইমসের প্রাক্তন স্বাস্থ্য কর্তা জি সি খিলনানি জানান, ১৮ বছরের বেশি বয়সি সবাই যাতে ভ্যাকসিন পেতে পারে, সেইজন্য যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সম্পন্ন করতে হবে।এখন পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার মাত্র ৪ শতাংশ মানুষ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন নিয়েছে।এখনও অনেক মানুষেরই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া বাকি।