নয়া বছরের প্রথমদিন থেকেই চেকের মাধ্যমে লেনদেনের ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম চালু হচ্ছে। জালিয়াতি রুখতে এবং গ্রাহকদের সুরক্ষার মাত্রা বৃদ্ধি করতে আগামী বছরের প্রথমদিন থেকে চেকের মাধ্যমে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি লেনদেনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দু'বার দিতে হবে।
একনজরে দেখে নিন সেই নিয়ম -
১) ‘পজিটিভ পে সিস্টেম’ হল জালিয়াতি চিহ্নিতকরণের উপায়। যা গ্রাহকের আগের অনুমোদিত একগুচ্ছ চেকের সঙ্গে নয়া চেকের নম্বর, তারিখ, পাওনাদারের নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ অন্যান্য তথ্য যাচাই করে দেখবে।
২) ‘পজিটিভ পে ইন দ্য চেক ট্রানকেশন সিস্টেম’ (সিটিএস) পরিকাঠামো তৈরি করছে ‘ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’। তারপর সেই পরিকাঠামো ব্যাঙ্কগুলিকে প্রদান করা হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের জন্য সেই পরিকাঠামো চালু করবে। যাঁরা চেকের মাধ্যমে ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি টাকার লেনদেন করছেন।
৩) সেই প্রক্রিয়ায় এসএমএস, মোবাইল অ্যাপ, ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, এটিএমের মতো মাধ্যম দিয়ে ব্যাঙ্কে পাওনাদারের নাম, তারিখ, অর্থের পরিমাণ ইত্যাদি কয়েকটি হাতেগোনা তথ্য জমা দেবেন গ্রাহক।
৪) কেন্দ্রীয় ‘পজিটিভ পে সিস্টেম’-এ সেই তথ্য আপলোড করবে ব্যাঙ্কের সিস্টেম। ব্যাঙ্ক যখন চেক পাবে, তখন তা কেন্দ্রীয় ডেটাবেসের তথ্য যাচাই করবে। যদি চেকের সঙ্গে সেই ডেটাবেসের তথ্য মিলে যায়, তাহলে লেনদেন সম্পন্ন করবে। গরমিল হলে চেক বাতিল করে দেবে ব্যাঙ্ক।
৫) সেই প্রক্রিয়া ব্যবহার করবেন কিনা, তা গ্রহীতার উপর নির্ভর করবে। তবে ৫০০,০০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের চেকের ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়াকে বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা করতে পারে ব্যাঙ্কগুলি।
৬) এসএমএস, এটিএম-ব্যাঙ্কে প্রচার, ওয়েবসাইট এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকদের মধ্যে ‘পজিটিভ পে সিস্টেম’ নিয়ে সচেতনতা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই।