বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পূর্ণ ভাবে অনলাইনে ক্লাস নিলে বিদেশি পড়ুয়ারা আমেরিকায় থাকতে পারবেন না, বলে জানিয়ে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। সোমবার এই নির্দেশিকা জারি করল U.S. Immigration and Customs Enforcement (ICE ). এর ফলে মারাত্মক বিপদে পড়লেন বিপুল সংখ্যক ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী যারা এফ ওয়ান ভিসা নিয়ে আমেরিকায় গিয়েছেন।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই জানিয়েছিলেন যে ফল সেমেস্টারে তারা পুরো ক্লাস নেবে অনলাইন। কিন্তু সেরকম ক্ষেত্রে ছাত্রদের আমেরিকায় থাকতে দেবে না জানিয়ে দিল ট্রাম্প প্রশাসন। নির্দেশিকা ঘোষণার পর ট্রাম্প টুইটারে জানান যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে দরজা খুলতেই হবে। ডেমোক্র্যাটরা রাজনৈতিক কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চাইছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ছাত্রদের কিছু ক্লাস অফলাইন করতে হবে। পুরোটাই অনলাইনে হলে ভিসা দেওয়া হবে না। যারা অনলাইন ক্লাস করছে, তাদের শীঘ্রই ট্রান্সফার নিয়ে দেশে ফিরতে হবে বা বাড়ি গিয়ে ভার্চুয়াল ক্লাস করতে হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। নয়তো তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে প্রশাসন।
এই বিজ্ঞপ্তির পর রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তীব্র ভাষায় এর প্রতিবাদ করেছে আমেরিকান কাউন্সিল অন এডুকেশন, যেটা সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সভাপতিদের নিয়ে গঠিত একটি সংস্থা। যে সব দেশে এই মুহূর্তে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আছে সেখানকার ছাত্র-ছাত্রীরা কি করবেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
পড়ুয়াদের স্বার্থে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এখন সীমিত সংখ্যক ক্লাস অফলাইন করাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এতে বড় স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে, এই নিয়ে চিন্তিত সবাই।
যারা F-1 ও M-1 ভিসায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন, তাদের জন্যেই সবচেয়ে সমস্যা। গত কয়েক বছরে চিনের পরেই আমেরিকায় ছাত্রছাত্রী সবচেয়ে বেশি গিয়েছে ভারত থেকে। এই মুহূর্তে ভারতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বন্ধ। শুধু চলছে বন্দে ভারত মিশনের আওতায় হাতে গোনা কিছু। তাই বাড়ি ফেরাও সহজ হবে না।
এর আগে বৈধ অভিবাসনের ওপর কাঁটছাট করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন যাতে বিপাকে পড়েছেন H-1B ভিসাধারী। এবার সেরকম ভাবেই সমস্যার মুখোমুখি হবে F-1 ভিসা যাদের আছে বা যারা রিনিউ করতে চাইছেন।।