বাংলাদেশে একে তো জিনিসপত্রের আগুন দাম। তার উপর এবার করের হার বৃদ্ধির খবর সামনে আসছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, চলতি ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের মাঝপথে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর( মূসক) বা ভ্য়াট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার।
সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশের মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে মোবাইল ব্যবহারের খরচ বাড়বে। ইন্টারনেটের খরচও বাড়বে। ভ্য়াট বৃদ্ধির জন্য পোশাকের দামও বাড়তে পারে। এমনকী রেস্তোরাঁতে খাওয়া দাওয়া করে একটু স্বস্তি পাবেন তারও উপায় নেই। সেখানকার খাওয়াদাওয়ার খরচও বাড়তে পারে এবার।
এখানেই শেষ নয়। একাধিক পণ্যে দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তার মধ্য়ে অন্যতম ওষুধ, ফলের রস, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেট, মিষ্টি সহ একাধিক পণ্য।
বৃহস্পতিবার রাতে এনিয়ে বাংলাদেশের অধ্য়াদেশ জারি করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে গত ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির এনবিআরের প্রস্তাব পাস করা হয়।
এদিকে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, সরকার চাল ডালের মতো অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীতে ইতিমধ্যেই শুল্কছাড় দেওয়ায় এই করবৃদ্ধি মূল্যবৃদ্ধির কারণ হবে না।
এদিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি অবশ্য় জানিয়েছেন, সরকারকে দেখতে হবে। মানুষের পেটে ক্ষিধে আছে কি না। মানুষ ঠিক মতো করে খেতে পাচ্ছে কি না। এটাই ইউনুস সরকারের দায়িত্ব। আইএমএফের চাপে কর বাড়াতে পারে না সরকার।
এদিকে ওই প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, কনজিউমার্স অ্য়াসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, যে সব পণ্যের ভ্য়াট বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে সিগারেট বাদে প্রত্যেকটিই জীবন মানের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এগুলোর দাম বেড়ে গেলে মানুষের জীবনের মান বজায় রাখার ব্যয় বেড়ে যাবে। ফলে মূল্যবৃদ্ধিও বাড়বে।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারের খরচও বাড়ছে। বাংলাদেশে এবার ব্র্য়ান্ডের দোকান থেকে পোশাক কিনতে গেলেও বেশি খরচ হতে পারে। সমস্ত ধরনের রেস্তোরাঁর বিলের উপর ভ্যাট এক লাফে ১০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে সেটা করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। আগে এই হার ছিল ৫ শতাংশ।