এবারের বাজেটে নয়া করনীতি ঘোষণা করেছেন। এতে প্রতিটি স্ল্যাবে আগের চেয়ে অনেক কম কর দিতে হচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন খাতে বিশেষত ৮০সি-তে ছাড় উঠিয়ে দিল অর্থমন্ত্রক।কেউ অবশ্য চাইলে পুরনো করকাঠামো অনুযায়ীও আয়কর রিটার্ন দিতে পারেন। সব মিলিয়ে নয়া করকাঠামোয় প্রায় ৭০টি এক্সেমপশন লুপ্ত হয়েছে। কিন্তু এখনও দশ রকমের আয় আছে, যার ওপর আয়কর ছাড় পাওয়া যাবে আগামী অর্থবর্ষ থেকে । সেগুলির সম্বন্ধে জেনে নিন-
১. টানা পাঁচ বছর চাকরি করার পর, কেউ চাইলে যদি Employees' Provident Fund (EPF) থেকে টাকা তোলেন, তাহলে সেই অর্থের ওপর এখনও ছাড় মিলবে।
২. PPF (Public Provident Fund)-এর ম্যাচুরিটিতে যে টাকা পাওয়া যাবে ও সেই অ্যাকাউন্টে যে বাত্সরিক সুদ জমা পড়ে, তার ওপর আয়কর ছাড় মিলবে।
৩. National Pension Scheme (NPS)-এ ম্যাচুরিটিতে বা আগে বন্ধ করলেও কম করে ৪০ শতাংশ টাকার ওপর কর দিতে হবে না। NPS থেকে আংশিক টাকা তুললে, ২৫ শতাংশ অবধি অর্থের ওপর কর ছাড় মেলে।
৪. ইনকাম ট্যাক্স অ্যাক্টের ধারা ১০ (১০D) অনুযায়ী লাইফ ইনস্যুরেন্স প্ল্যানের ম্যাচুরিটি বা সারেন্ডার করে দিলে, যে টাকা পাওয়া যায়, এর ওপর করছাড় মিলবে। বোনাসের ওপরেও ট্যাক্স দিতে হবে না।
৫. সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় ম্যাচুরিটির পর সুদ সহ যে টাকা মিলবে, তার ওপর আয়কর পাওয়া যাবে।
৬. অফিস থেকে বিভিন্ন কাজে বাইরে যাওয়ার জন্য যে যাতায়াতের টাকা দেয়, সেটিতেও আয়কর ছাড় মিলবে। কনভেয়েন্স অ্যালোয়েন্স, রিলোকেশন চার্জ ইত্যাদি আয়কর মুক্ত।
৭. যে সব পোস্ট অফিস সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৩৫০০ টাকা অবধি আছে, তার ওপর সুদের ওপর কোনও কর লাগবে না।
৮. পড়াশুনোর জন্য কোনও স্কলারশিপ পেলে সেটিতে কর ছাড় মিলবে আইটি অ্যাক্টের ১০ (১৬) ধারা অনুযায়ী।
৯. লাগাতার পাঁচ বছর কাজ করার পর কুড়ি লক্ষ টাকার কম গ্র্যাচুইটির ওপর আয়কর ছাড় মিলবে।
১০. চাকরির মেয়াদকালের শেষে বা ইস্তফা দিলে ৩ লক্ষ টাকা অবধি লিভ এনক্যাশমেন্টের ওপর কোনও আয়কর দিতে হবে না।