হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় তিনদিন ব্যাপী মুখ্য়সচিবদের নিয়ে জাতীয় স্তরের কনফারেন্স। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এদিন। শস্য বৈচিত্র ও তৈলবীজ, ডাল ও অন্য়ান্য কৃষিজ সামগ্রীতে স্বনির্ভরতার উপর আলোচনা হয়েছে । পাশাপাশি জাতীয় শিক্ষানীতির নানা দিক নিয়েও কথাবার্তা হয়েছে কনফারেন্সে। অন্য়দিকে আজাদি কি অমৃত মহোৎসব, রোড টু ২০৪৭ নিয়েও কনফারেন্সে আলোচনা হয়। পাশাপাশি উৎকৃষ্ট জেলা কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সম্ভাবনাময় জেলার কর্মসূচি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উচ্চ প্রশংসা করেন। ব্লক ও শহর পর্যায়ে এই কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী আলোকপাত করেন। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, সর্বোত্তম, কমবয়সী অফিসারদের সেই সব সম্ভাবনাময় জেলায় পোস্টিং দেওয়া হবে যাতে তাঁরা ওই জেলাকে তাঁদের ভাবনার মাধ্যমে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই জেলাতে কাজ করে সেই আধিকারিকরা যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন তার কোনও তুলনা নেই। গোটা দেশে সেই অভিজ্ঞতাকে তাঁরা কাজে লাগাতে পারবেন।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ও মোবাইল অ্য়াপের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণকে আরও জোরদার করা হবে বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পুরষ্কারপ্রাপ্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের স্কুল পরিদর্শনের জন্য ও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে নিয়োজিত করা যেতে পারে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য় একটি আলাদা টিভি চ্যানেল রাখা দরকার। প্রসঙ্গত ২০২২-২৩ এর বাজেটে দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তে শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০০টি টিভি চ্যানেল শুরু করার কথা জানিয়েছিল সরকার। আত্মনির্ভর কৃষি ও পিএম গতিশক্তির উপরেও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।