নির্বাসনে থাকা তিব্বতী সরকারের নয়া প্রেসিডেন্ট হলেন পেনপা সেরিং। এবং দায়িত্ব গ্রহণ করেই চিনকে ব্যাকফুটে ফেলতে নয়া চাল দিলেন তিনি। এদিন তিনি জানান, তিব্বতের রাজধানী লাসায় তিনি প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে বেজিংয়ের 'স্বেতপত্রের' দাবি খতিয়ে দেখতে চান। উল্লেখ্য, এই স্বেতপত্র হল চিনের 'প্রমাণ', যে তারা তিব্বতের উন্নতি করেছে। সেখানে হাইওয়ে, বিমানবন্দর গড়েছে। চিনের দাবি, যা করছে তা দারিদ্র্য দূর করার জন্য এবং জনগণ তা সমর্থন করে।
এই বিষয়ে সেরিং বলেন, 'আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে আমি লাসায় প্রতিনিধি পাঠিয়ে চিনের দাবিকে খতিয়ে দেখতে পারি।' এদিকে চিন সেন্ট্রাল তিব্বত অ্যাডমিনস্ট্রেশন (নির্বাচনে থাকা তিব্বতী সরকার)-কে বৈধ বলে মান্যতা দেয় না। এদিকে ২০১০ সালের পর থেকে দলাই লামার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে চিন।
এর আগে তিব্বতে সাংস্কৃতিক গণহত্যা হতে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সেরিং। এই আবহে ২০২২ সালের বেজিং শীতকালীন অলিম্পিক্সের আগে গোটা বিশ্বকে চিনের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, আমরা চিনের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। তবে বেজিংয়ের বর্তমান নীতি তিব্বতী সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সেরিং আরও বলেছেন, সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে। একবার এটি নির্মূল হয়ে গেলে, কোনও কিছুর জন্য লড়াই করার কোনও মানে হয় না।