ত্রিপুরায় লড়াই–আন্দোলন করে তৃণমূল কংগ্রেসের পা শক্ত হয়েছে। তাই মানুষ যোগাযোগ করতে চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে হোটেলে থেকে সমস্যা মেটানো সম্ভব নয়। কারণ কোন হোটেলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা থাকছেন তা অনেকের কাছেই অজানা। তাছাড়া অর্থও খরচ হচ্ছে। এখন সেখানে দলের বহর বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দল থেকে নেতা–কর্মী–সমর্থক আসতে শুরু করেছে। এই প্রেক্ষাপটে দলীয় কার্যালয়ের অনুভব করেছেন স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নয়া দলীয় কার্যালয় করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর আগে দলীয় কার্যালয় এখানে ছিল। কিন্তু তার ব্যবহার খুব একটা লক্ষ্য করা যায়নি। এখন তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যায় রোজ বাড়ছে। কলকাতা থেকে ত্রিপুরা গিয়ে থাকছেন একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। হোটেলে থাকলে বিপ্লব দেবের প্রশাসন হয়রানি করছে। দু’বার সফর করেছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। এখন সেখানে ঘাঁটি গেড়েছেন সুস্মিতা দেব। দলে দলে যোগদান শুরু হয়েছে। তাই সংগঠন গড়ে তুলতে প্রয়োজন একটি বাড়ি বা দলীয় কার্যালয়। সেটি বুঝেই দলীয় কার্যালয় দ্রুত তৈরি করা হবে বলে সূত্রের খবর।
এই প্রস্তাব দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়েছে বলেও খবর। আগরতলা শহরের পাঁচতলা হোটেল থেকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করা সম্ভব নয়। তাছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে তাদের হোটেলে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। ব্যক্তিগত আলাপ আলোচনাতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে হেনস্থার শিকার হতে হয় সায়নী ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ কয়েকজনকে। তাই সেখানে পাকাপাকি দলীয় কার্যালয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আপাতত বনমালীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিকের বাড়িতে একটা অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হয়েছে। তবে কোনও নেতার বাড়িতে থেকে দলীয় কাজ ঠিক নয় বলেই অনেকে মনে করছেন। কেন্দ্রীয় কোনও কার্যালয় না থাকলে অসুবিধাই হচ্ছিল। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেটি গঠন করার। এখানে সংগঠন ঢেলে সাজাতে কাজ শুরু করছেন সুস্মিতা দেব। তিনি জেলা ধরে ধরে বৈঠক করতে চলেছেন।