শীত পড়তে শুরু করেছে। এরই মাঝে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করল ভারতীয় সেনা। ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকেই লাধাক সীমান্তের পরিস্থিতি উত্তপ্ত থেকেছে। এখনও পুরোপুরি সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি চিন। একাধিক জায়গায় যৌথ উদ্যোগে সেনা প্রত্যাহার হলেও পরিস্তিতি স্বাভাবিক হয়নি। এই আবহে শীত আসতেই নতুন করে লাদাখে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে পদক্ষেপ করল ভারতীয় সেনা। এর ফলে একাধিক যুদ্ধ সরঞ্জাম মোতায়েন করা হচ্ছে পূর্ব লাদাখে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, লাদাখে আরও উন্নত মানের আর্টিলারি গান, ‘সোয়ার্ম’ ড্রোন মোতায়েন করছে ভারত। পাশাপাশি লাদাখে মোতায়েন করার জন্য দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, সাঁজোয়াযান, ‘ইনফ্যান্ট্রি কম্ব্যাট ভেহিককেলে’র প্রযুক্তিগত উন্ননের দিকেও নজর দিয়েছে সেনা। সেনা কর্তাদের কথায়, চিনের পিএলএ-র যেকোনও চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে সীমান্তে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চায় ভারত। এই কারণেই সেনার আধুনিকীকরণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা হিন্দুস্তানটাইমসকে এই বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ভাবে আমাদের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে নজর দিচ্ছি। সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের ছাড়পত্র দিচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে আমরা সামরিক সরঞ্জাম কিনছি।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, লাদাখে আরও বেশি সংখ্যক 155mm/52-ক্যালিবার ট্র্যাকড সেল্ফ-প্রোপেলড K9 বজ্র-টি কামান, অতিরিক্ত 155mm/45-ক্যালিবার ধনুশ টোউড কামান, নতুন 155mm/52-ক্যালিবার অ্যাডভান্সড টোউড আর্টিলারি কামান সিস্টেম (ATAGS), শারাং নামক দূরপাল্লার কামান, পিনাকা রকেট সিস্টেম মোতায়েন করতে চলেছে ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের মে মাসের পর থেকেই লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একে অপরের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে ভারতীয় এবং চিনা সেনা। চিনের চোখ রাঙআনির সামনে কোনও ভাবেই মাথা নত করতে নারাজ ভারত। এদিকে দফায় দফায় আলোচনায় সমাধান সূত্র বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সেনা। তবে থেকে থেকেই শান্তি কায়েমের ক্ষেত্রে চিনা সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই আবহে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক সামরিক কর্তা বলেন, ‘বিগত দুই বছরে আমরা অনেকটা পথ অতিক্রম করেছি। চিন শক্তিকে সমীহ করে। এবং তাই আমাদের শক্তি প্রদর্শন করতে হবে।’