সীমা হায়দার। পাকিস্তানের ভাবি চলে এসেছেন ভারতে। প্রেমের টানে ভারতে এসে বিয়েও করে ফেলেছেন প্রেমিক সচিন মীনাকে। ভারতকে আপন করতে সবরকম চেষ্টা করছেন তিনি। তবে এবার একেবারে ফাটাফাটি উদ্যোগ। একেবারে অনন্য উদ্যোগ।
তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাখি পাঠিয়েছেন। এমনকী আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের কাছেও তিনি এই রাখি পাঠিয়েছেন। সেই সঙ্গেই একটি ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সবুজ রঙের শাড়ি পড়েছেন তিনি। হাত জোড় তিনি বক্তব্য রাখা শুরু করেন।
তিনি বলেন, জয় শ্রীরাম। নরেন্দ্র ভাই মোদীজি। ডঃ মোহন ভাগবৎ জী, শ্রী রাজনাথ সিং জী, এপি সিং জী, যোগী আদিত্যনাথ জী, অমিত শাহ জী, এই যে পোস্ট করে দিয়েছি। রাখী বন্ধনের দিন এই রাখি পেয়ে যান। যাঁদের কাঁধে এই দেশের দায়িত্ব রয়েছে। জয় শ্রীরাম। জিন্দাবাদ।
তবে এই ভিডিয়ো সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই শোরগোল। একজন লিখেছেন এটা তো পুরো স্ক্রিপটেড। কেউ লিখে দিয়েছেন। সেটা দেখে পড়ছেন। তিনি জানেন কীভাবে ভারতের নাগরিকত্ব পেতে হবে।
এত কিছুর পরেও সীমা হায়দারকে নিয়ে সন্দেহ কিছুতেই দূরীভূত হচ্ছে না। তবে তিনি নিজেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে রাখি পাঠিয়েছি। সেই সঙ্গেই তিনি লাইন দিয়ে একেবারে হেভিওয়েট নেতাদের নাম বলে যান।
সীমার দাবি পাবজি খেলতে গিয়ে আলাপ হয়েছিল ভারতীয় যুবক সচিনের সঙ্গে। এরপর প্রেমের টানে চার সন্তানকে নিয়ে ভারতে চলে আসেন তিনি। সচিনকে বিয়েও করেছেন তিনি। কিন্তু সীমাকে ঘিরে সন্দেহের মেঘ কাটেনি এখনও এখনও। তিনি কি সত্যিই ভারতকে ভালোবাসেন?নাকি পাকিস্তান পাঠিয়েছে তাকে?
তবে সীমা অবশ্য বার বারই প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন তিনি ভারতকে ভালোবাসেন। অন্য কোনও উদ্দেশ্য নয়। তিনি প্রেমের টানেই ভারতে এসেছেন। ভারতকে তিনি ভালো বাসেন। তিনি পাকিস্তানে ফিরতে চান না। তিনি ভারতের জাতীয় পতাকাও তুলেছেন।