প্রেমিকের বদলে অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ায় মারাত্মক কাণ্ড করে বসল তরুণী। প্রেমিকের সঙ্গে হাতমিলিয়ে বিয়ের চারদিন পর স্বামীকে খুন করল নববধূ। এমনই হাড়হিম ঘটনা ঘটল গুজরাটের গান্ধীনগরে। নিহত ব্যক্তির নাম ভাবিক। তিনি আমদাবাদের বাসিন্দা। গান্ধীনগরের বাসিন্দা পায়েলের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তারপরেই স্বামীকে খুন করল ওই নববধূ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: পণের দাবি না মেটায় স্ত্রীকে খুন করল স্বামী, বাপেরবাড়ি থেকে নিয়ে এসে অত্যাচার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পায়েলের প্রেমিকের নাম কল্পেশ। সম্পর্কে সে আবার খুড়তুতো ভাই। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের প্রেম ছিল। ফলে বাবা মায়ের ঠিক করা পাত্র ভাবিকের সঙ্গে বিয়ে মেনে নেয়নি সে। তাই পথের কাঁটা স্বামীকে সরাতে প্রথমে অপহরণ ও পরে খুন করে তারা। কল্পেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল পায়েল।
জানা যায়, গত শনিবার ভাবিক পায়েলের বাবা-মায়ের বাড়িতে তাকে নিতে গিয়েছিলেন। সময় মতো সেখানে না পৌঁছালে পায়েলের বাবা ভাবিকের বাবাকে ফোন করে জানান যে তাঁর ছেলে সেখানে পৌঁছাননি। ভাবিকের বাবা তাঁকে জানান, তাঁর ছেলে অনেক আগেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। এরপর পায়েলের বাবা ও তার পরিবার ভাবিককে আশেপাশে খুঁজতে শুরু করে। তল্লাশির সময় তাঁরা রাস্তায় ভাবিকের বাইক দেখতে পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাঁদের জানিয়েছেন, ভাবিককে তিনজন লোক মিলে অপহরণ করেছিল। তারা প্রথমে এসইউভি দিয়ে ভাবিকের বাইকের পিছনে ধাক্কা মারে। ফলে বাইকটি মাটিতে পড়ে যায়। তখন আহত অবস্থাতেই তারা ভাবিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পরে পায়েলের পরিবার পুলিশের কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানায়। তাতেই পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। অপহরণ করা হয়েছে শুনে পুলিশের সন্দেহ হয়। পুলিশ তখন পায়েলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। শেষপর্যন্ত পুলিশের জেরার মুখে পড়ে অপরহণ এবং খুনের কথা স্বীকার করে নেয় পায়েল।
পায়েলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, পুলিশ তিন অভিযুক্তকে ট্র্যাক করে গ্রেফতার করে। কল্পেশ পুলিশকে বলেছে তার সঙ্গে আরও অন্য দুজন ভাবিককে অপহরণ করে এবং এসইউভিতে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। খুনের পর তার দেহ পাশের নর্মদার খালে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভাবিক যখন পায়েলের বাবা-মায়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন সেইসময় সে স্বামীকে ফোন করেছিল তার সঠিক অবস্থান জানতে। পরে কল্পেশকে ভাবিকের অবস্থান শেয়ার করে। ঘটনায় পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) প্রাসঙ্গিক ধারায় হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র এবং অপহরণের একটি মামলা নথিভুক্ত করেছে। ঘটনার আরও তদন্ত করা হচ্ছে।