দুুপুর আড়াইটেয় বাজল সাইরেন। তারপরেই ভেঙে ফেলা হল নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার। এটিকে দেশের দীর্ঘতম টাওয়ার বলে গণ্য করা হত এতদিন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হয় এটিকে। দিনভর দেশ ও রাজ্যের যাবতীয় খবর এবং রাজনৈতিক আপডেট জানতে চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়।
ধ্বংসাবশেষের পাহাড়
ধ্বংসাবশেষের পাহাড় জমে গেল টুইন টাওয়ার বিস্ফোরণের পরই।
ধুলোয় ঢাকল নয়ডা
এ যেন পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ পরবর্তী সময়। টুইন টাওয়ার ধ্বংস হতেই ধুলোয় ঢাকল নয়ডার বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
দেখুন ধ্বংসের মুহূর্ত
মাত্র ৯ সেকেন্ডে ধুলোয় মিশে গেল বেআইনি ভাবে নির্মিত ৪০ তলা বিল্ডিং। দেখুন সেই ভিডিয়ো।
আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা
আর মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা। তারপরেই ভেঙে ফেলা হবে নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার। এটিকে দেশের দীর্ঘতম টাওয়ার বলে গণ্য করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হচ্ছে এটিকে।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছেছেন সুপারটেক টুইন টাওয়ারের কাছে। এদিকে আপতকালীন ভাবে ৫০টি সয্যা এবং অ্যাম্বুলেন্স তৈরি রাখা হয়েছে।
'প্ল্যান মাফিক নির্মাণ'
সুপারটেকের তরফে বলা হয়, ‘অনুমোদিত প্ল্যান মেনেই বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছিল। কোনও প্ল্যান লঙ্ঘন করা হয়নি...তবে, সুপ্রিম কোর্ট প্রযুক্তিগত কারণে এই নির্মাণে সন্তোষ প্রকাশ করেনি। সেই অনুযায়ী দুটি টাওয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ জারি করেছে। আমরা সর্বোচ্চ আদালতের আদেশকে সম্মান করি, তা বাস্তবায়ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশিকা
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার ধ্বংস করার প্রক্রিয়া চলাকালীন নিরাপত্তার মান মেনে চলার নির্নদেশিকা দিয়েছেন।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে নয়ডায় মোতায়েন স্মগগান
দূষণ নিয়ন্ত্রণে নয়ডায় মোতায়েন স্মগগান। আজ দুপুর আড়াইটের সময় ধ্বংসের আগে মোট ১১টি স্মগগান মোতায়েন করা হয়েছে নয়ডায়। দুটি স্মগগান মোতায়েন করা হয়েছে পর্ষবন্থের সার্ভিস রোডের পাশে, ৩টি মোতায়েন করা হয়েছে সিটি পার্ক থেকে এটিএস পর্যন্ত এলাকায়, ২টি বরাবর এবং গেঝা কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে, একটি করে স্মগ গান জেপি ফ্লাইওভারের কাছে, এলডেকোর পাশে, পান্না কোর্টের সামনে এবং টুইন টাওয়ারের কাছে।
বিপুল বাহিনী মোতায়েন নয়ডায়
৫৬০ জন পুলিশ কর্মী, রিজার্ভ ফোর্সের ১০০ জন, ৪টি কুইক রেসপন্স টিম এবং NDRF টিম মোতায়েন করা হয়েছে নয়ডার সুপারটেক টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য।
ক্রেন আসতে শুরু করেছে টুইন টাওয়ারের এলাকায়
নয়ডার সেক্টর 93A-তে সুপারটেক টুইন টাওয়ারের আশেপাশের এলাকা খালি করার ঘোষণা করেছে পুলিশ। সেখানে ক্রেন আসতে শুরু করেছে।
৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহারে ভাঙা হবে টাওয়ার
আর কিছুক্ষণেই ভাঙা হবে সুপারটেকের তৈরি জোড়া টাওয়ার। ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে। মুম্বইয়ের একটি কোম্পানি এই কাজ করবে।
আদালতে ধাক্কা খায় সুপারটেক
এর আগে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই টাওয়ার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় সুপারটেক। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ বহাল রাখে।
দুই দশক আগে শুরু হয় কাজ
২০০০ সালের মাঝামাঝি সময় সুপারটেক টুইন টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডা যাওয়ার রাস্তার সংযোগস্থলে এই টাওয়ার গড়ে ওঠে। এখানকার ফ্ল্যাটের দাম ছিল ১ কোটি থেকে ৩ কোটি পর্যন্ত। ১৪টি ৯ তলা টাওয়ার তৈরির কথা ছিল প্রথমে।
টুইন টাওয়ার নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই
প্রায় দু দশক ধরে স্থানীয়দের সঙ্গে সুপারটেকের আইনী লড়াই চলেছে। শেষ পর্যন্ত এটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো আজ এই টাওয়ার ভেঙে ফেলা হবে।