ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেল্থ সার্ভে বা পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে উঠে এসেছে ভারতে বসবাসকারী পরিবারগুলির স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানান তথ্য। উঠে এসেছে শৌচালয় ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য, তেমনই প্রকাশ্যে এসেছে ওবেসিটির মতো সমস্যা নিয়ে পরিবারগুলি কতটা সচেতন বা ভারতে ওবেসিটির হাল হকিকত। এদিকে, এই চিত্রপটে বাংলার পরিবারগুলিরও নানান তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, বাংলার জেলাগুলির মধ্যে কোন জেলা গর্ভনিরোধক ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, তার খতিয়ান।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে, গর্ভনিরোধক ব্যবহারের প্রবণতা। এই বয়সকালের মহিলাদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ মহিলা কোনও না কোনওভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করে থাকেন। গতবারের জাতীয় সমীক্ষায় এই সংক্রান্ত রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, আগের থেকে প্রায় ৩ শতাংশ বেড়েছে রাজ্যে গর্ভনিরোধক ব্যবহারের সংখ্যা। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে গর্ভনিরোধক ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা, কলকাতা ও হাওড়া। প্রধানত বিবাহিত মহিলাদের গর্ভনিরোধক ব্যবহারের নিরিখে এই তথ্য উঠে এসেছে। মহিলাদের পিরিয়ডের সময় কেন হয় মুড সুইং! এই সময় সঙ্গম কি উচিত? জরুরি তথ্য
মুর্শিদাবাদ জেলায় গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার ৮৫, একই অঙ্ক কলকাতা ও হাওড়ার। এরপর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং বীরভূম। তারপর রয়েছে কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর। সব কয়টি জেলাতেই বিবাহিত মহিলাদের গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার ৮০ এর উপরে। এরপর রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর ও উত্তর ২৪ পরগনা, সঙ্গে পর পর রয়েছে, মালদা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান। গর্ভনিরোধক ব্যবহারের হার ৬১ নিয়ে পরবর্তীস্থানে রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর। তারপর রয়েছে নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া। ওই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ১৫ থেকে ৪৯ বছরের পুরুষরা মনে করেন গর্ভনিরোধ করা সম্পূর্ণ মহিলাদের দায়িত্ব। তাঁদের ধারণা অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণ রুখতেই কন্ডোম ব্যবহার করা হয়। এমন ভাবনা রয়েছে ৫৩ শতাংশ পুরুষের মনে। ১৫ শতাংশ পুরুষের মতে মহিলারা গর্ভনিরোধক ব্যবহার করেন অবৈধ সম্পর্কে সংযুক্ত হতে।