গত এপ্রিল ও মে মাসের পরিসংখ্যান অনুসারে তামিলনাড়ুতে মৃতের সংখ্য়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। গত তিনবছরের তুলনায় এই মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধিকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তবে কী কোভিডের থাবার মৃত্যু হওয়ার পরেও সেগুলিকে সাধারণ মৃত্যু বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এনিয়েই প্রশ্ন তুলেছে চেন্নাইয়ের একটি এনজিও আরাপ্পার ল্যায়াক্কম। সম্প্রতি ওই এনজিওর প্রকাশিত রিপোর্টে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে। মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর ছটি হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত রিপোর্ট অনুসারে মৃত্য়ুর খতিয়ানে নানা অসঙ্গতি দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কোভিডে মৃত্যুর নানা ঘটনা চেপে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ওই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা জয়ারাম ভেঙ্কটেশনের দাবি, ‘কোভিড ১৯ ছাড়া এরকম কোনও বড় রোগ এই সময়ের মধ্যে হয়নি যাতে মৃত্য়ুর সংখ্যা এতটাই বাড়তে পারে।’ প্রসঙ্গত চলতি বছরের এপ্রিল ও মে মাসে তামিলনাড়ুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৩ জনের। প্রসঙ্গত আগের মাসের কিছু মৃত্যুও এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬টি হাসপাতাল থেকে অনলাইনে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০১৯য়ের এপ্রিল ও মে মাসে ৪৪৩৭ জন, ২০২০র এপ্রিল- মে মাসে ৩২৬১ জন উল্লেখ করা হয়েছে । অথচ চলতি বছরে এপ্রিল ও মে মাসে দেখা যাচ্ছে মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এদিকে এই ৬টি হাসপাতালে ওই সময়কালে কোভিডে মৃত্য়ু দেখা যাচ্ছে মাত্র ৮৬৩জন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কী কোভিডে মৃত্যু হলেও আসল কারণ চেপে গিয়ে সাধারণ মৃত্যু বলে দেখানো হয়েছে? সেক্ষেত্রে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা ৮-৯ গুণ বাড়তেও পারে। তবে মাদুরাইয়ের গভর্নমেন্ট রাজাজি হাসপাতালের ডিন ডাঃ এ রাথিনাভেল বলেন, আমরা আইসিএমআরএর গাইডলাইন মেনেই যাবতীয় কাজ করেছি। কোনও তথ্য় চেপে যাওয়ার ঘটনা নেই।