এবার আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে খুন করার ঘটনাকে ঘিরে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ন্যাশানাল হিউম্যান রাইটস কমিশন মুখ্য সচিব ও ডিজিপির কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সূত্রের খবর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে ১৩ অগস্ট একটি প্রেস বার্তায় উল্লেখ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আরজি করের চিকিৎসকক খুনের ঘটনায় স্বতপ্রণোদিত পদক্ষেপ নিচ্ছে। গোটা বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে মানবাধিকার কমিশন। রাজ্যের মুখ্য়সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিপির কাছে নোটিশ পাঠিয়েছে। দু সপ্তাহের মধ্য়ে তাদের বিস্তারিত নোটিশ পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৃতের শরীরের আঁচড়ের দাগ, এটাই বোঝা যাচ্ছে মৃত্যুর সময় ধ্বস্তাধস্তি হয়েছিল। ওই মহিলা চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করা হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে কমিশন গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। যদি এটা সত্যি হয়ে থাকে তবে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। দু সপ্তাহের মধ্য়ে চিফ সেক্রেটারি ও ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশের কাছ থেকে দু সপ্তাহের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
সেই রিপোর্ট জানাতে হবে তদন্তের কাজ কতদূর এগিয়েছে, পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা জানাতে হবে। কী ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে সেটা জানাতে হবে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের তরফে কী করা হয়েছে সেটাও জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আরজি কর থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সেখানকার অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এরপরই বিকালে সেই সন্দীপকে বসানো হয় ন্যাশানাল মেডিক্যালে। তবে এবার সেই সন্দীপকে লম্বা ছুটিতে যেতে বলল হাইকোর্ট।
হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, 'বিকেল ৩টে পর্যন্ত সময় দিলাম। এর মধ্যে অধ্যক্ষকে স্বেচ্ছায় ছুটিতে চলে যেতে বলুন। না হলে আমরা নির্দেশ দিতে বাধ্য হব। কীভাবে একজন ইস্তফা দেওয়ার পর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ফেরত আনা হল? আপনি কি এত পাওয়ারফুল লোক? আপনি হাসপাতালের অভিভাবক। আপনার যদি নির্যাতিতার প্রতি সহানুভূতি না থাকে, তাহলে আর কার থাকবে? কোনও মানুষ আইনের উর্ধ্বে নয়।'