পেশায় চোখের ডাক্তার। বেঙ্গালুরুর রামাইয়াহ মেডিক্যাল কলেজে কাজ করত আবদুর রহমান। কিন্তু সে যে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিসের সদস্য, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেনি কেউ। আবদুরকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। জানা গিয়েছে জঙ্গি সংগঠনের জন্য দুটি অ্যাপ বানাচ্ছিল ২৮ বছরের এই চিকিৎসক। একটি ছিল মেডিক্যাল অ্যাপ অসুস্থ জঙ্গিদের সাহায্যার্থে, অন্যটি ছিল অস্ত্রশস্ত্র বিষয়ক।
এনআইএ জানিয়েছে যে আবদুর ২০১৪ সালে সিরিয়ায় আইসিসের মেডিক্যাল ক্যাম্পে গিয়েছিল। দশ দিন থাকার পর সে ভারতে ফেরত যায়। এক কাশ্মীরি দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্ত করতে করতে আবদুরের খোঁজ পায় এনআইএ। এই দম্পতি নিষিদ্ধ ISKP (Islamic State of Khorasan Province) এর সদস্য ছিল। এটি আইসিসের শাখা সংগঠন ও বিভিন্ন দেশবিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তাদের সঙ্গে কারা কারা যুক্ত সেটি জানতে গিয়ে একে একে অনেকের খোঁজ পায় তদন্তকারীরা। এর মধ্যে এমন লোকের খোঁজ মিলেছে যারা সিএএ বিরোধী প্রতিবাদের সময় আইসিসের হাত শক্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছিল।
এই চক্রের জাল ছাড়াতে গিয়েই অবশেষে আবদুর রেহমানের সন্ধান মেলে। সোমবারই তাকে গ্রেফতার করা হয়। যদিও ইতিমধ্যেই সে জানিয়েছে তার ISIS-এর যোগের কথা। বেঙ্গালুরুর তিন জায়গায় তল্লাশি করে বিপুল সংখ্যক তথ্যপ্রমাণ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনআইএ। দিল্লিতে এনআইএ কোর্টে তাকে পেশ করা হবে কাস্টডির জন্য। কীভাবে ভারতে আইসিস নিজের ডালপালা ছড়ানোর চেষ্টা করছে, তদন্তে পুরোটা উঠে আসবে, বলে আশা তদন্তকারীদের।