ইতিমধ্যে কেটে গিয়েছে প্রায় চার মাস। নয়াদিল্লিতে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে আইইডির বিস্ফোরণের ঘটনায় দু'জন সন্দেহভাজনের ভিডিয়ো প্রকাশ করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দুই ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছেন। একজন হালকা বেগুনি রঙের জামা পরে আছে। তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটতে দেখা গিয়েছে। অপরজন কালো জ্যাকেট মতো পরে হেঁটে যাচ্ছে। ভিডিয়োর একটি অংশে ওই হালকা বেগুনি রঙের জামা পরা ব্যক্তির গায়ে কালো জ্যাকেট দেখা গিয়েছে। ওই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা যাবে, এমন কোনও তথ্য দিলে ১০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কারেরও ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি বিকেলে দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোডে ইজরায়েলের দূতাবাসের সামনে মুদৃ আইইডি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। শুধুমাত্র তিনটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাড়িগুলির কাঁচ রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ডিভাইডারের একটি অংশের ঘাস উঠে যায়। বড়সড় ক্ষতি না হলেও রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়। বিশেষত যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে, সেখান থেকে মেরেকেটে দু'কিলোমিটার দূরে ‘বিটিং দ্য রিট্রিট’ (প্রজাতন্ত্র দিবসের সমাপ্তি অনুষ্ঠান) চলছিল। উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় ইরানের হাত নিয়ে কার্যত নিশ্চিত তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের দিন ইজরায়েলের দূতাবাসের কাছে একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছিল। এক আধিকারিক জানান, ভারতে ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে উদ্দেশ করে লেখা সেই চিঠির হাতের লেখা এবং নির্দিষ্ট বানান থেকে আরও স্পষ্ট হয়, সেটি কোনও ইরানিয়ান লিখেছেন। তারপর সম্ভবত কূটনৈতিক সুরক্ষাকবচ থাকা কোনও এজেন্ট সেই চিঠির হস্তান্তর করেছিলেন। চিঠিতে কুদস বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা তথা ইরানিয়ান কম্যান্ডার কাশেম সোলেইমানি, আবু মেহধি আল মুহানদিস এবং ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাখরিজাদেহ মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে চিঠিতে ‘শত্রু’ ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূতকে জঙ্গি বলে অভিহিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী দেশের দানব বলেও উল্লেখ করা হয়েছিল বলে জানান ওই আধিকারিক।