জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের জন্য় আবেদন করল ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি(এনআইএ)।তবে এনআইএ কোর্ট এখনও এনিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। তবে এদিনই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত ১৯মে তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এনআইএ আদালত। এদিকে সূত্রের খবর, আদালতে ইয়াসিন জানিয়েছেন, অস্ত্র ছেড়ে আমি গান্ধীর আদর্শ মেনে চলি এখন।
এদিকে ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে টেররিস্ট অ্যাক্ট, জঙ্গি কার্যকলাপ করার জন্য ষড়যন্ত্র, জঙ্গি দলের সদস্য, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ নানা ধারায় মামলা করা হয়েছিল।অন্যদিকে কাশ্মীরের একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। যেমন ফারুক আহমেদ দার ওরফে বিট্টা কারাটে, শাব্বির শাহ, মাসারত আলম, মহম্মদ ইয়ুসুফ শাহ, আফতাব আহমেদ শাহ,আলতাফ আহমেদ শাহ, নইম খান, মহম্মদ আকবর খান্ডে, রাজা মেহরাজুদ্দিন সহ একাধিক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে গত ১৬ মে এনআইএ আদালত লস্কর ই তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদ, হিজবুল মুজাহিদিনের প্রধান সইয়দ সাদাউদ্দিন, কাশ্মিরী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিক, সাব্বির শাহ, মাসারত আলম সহ একাধিক জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ধারা প্রয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল।
এনআইএ সূত্রে খবর, পাকিস্তানের আইএসআইয়ের সহযোগিতায় লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন, জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট, জইশ ই মহম্মদ উপত্যকায় সাধারণ মানুষ ও সুরক্ষা বাহিনীর উপর হামলা চালানোর ছক কষছে।পাশাপাশি অভিযোগ ১৯৯৩ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলিকে একটি রাজনৈতিক ভিত্তি দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল অল পার্টি হুরিয়ত কনফারেন্স।