'আমেরিকা ফার্স্ট' স্লোগান তুলে ফের একবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ, ইতিমধ্য়েই তাঁর কিছু নিয়োগ নিয়ে মার্কিনিদের একাংশের মধ্য়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণন। মার্কিনিদের একাংশ বলছেন, তাঁর মতো ভারতীয়রাই তাঁদের কর্মসংস্থান কেড়ে নিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এই শ্রীরামই অতীতে দক্ষ বিদেশিদের এইচ-১বি ভিসা মার্কিন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন বলে দাবি করা হয়। ফলত, ট্রাম্পের দ্বারা তাঁর নিয়োগ বহু মার্কিনিই ভালোভাবে দেখছেন না।
এই প্রেক্ষাপটে আমেরিকায় বিশ্বের অন্য়ান্য দেশ থেকে আসা প্রযুক্তিবিদদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ার জন্য মার্কিন সংস্কৃতিকেই দায়ী করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন ব্যবসায়ী বিবেক রামাস্বামী। আর তার জন্যই তাঁকে কার্যত ধুয়ে দিলেন আর এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তথা মার্কিন কূটনীতিক নিকি হ্যালি। বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রসঙ্ঘে আমেরিকার এই প্রাক্তন অ্যাম্বাস্যাডর।
বিবেকের মন্তব্যের জবাবে নিকি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘মার্কিন কর্মী বা মার্কিন সংস্কৃতি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।... আসলে আপনাকে একমাত্র যে কাজটা করতে হবে, তা হল - সীমান্তে নজর দিন। আর দেখুন, কতজন চাইছে আর আমাদের কাছে কতজন আছে। আমাদের মার্কিনিদের উপরেই বিনিয়োগ করা উচিত এবং তাঁদেরই সর্বাগ্রে সুযোগ দেওয়া উচিত।’
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই বিবেক রামাস্বামী একটি বিস্তারিত এবং দীর্ঘ ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন এই বিষয়ে যে - কেন নামাজাদা প্রযুক্তি সংস্থাগুলি 'স্থানীয় ইঞ্জিনিয়র ও প্রযুক্তিবিদদের বদলে বিদেশিদের নিয়োগ করছে' তা নিয়ে।
বিবেক রামাস্বামীর সেই দীর্ঘ ব্যাখ্যার ঠিক আগেই শ্রীরাম কৃষ্ণনের গ্রিন কার্ডের বিধিনিষেধ তোলা সংক্রান্ত অবস্থান নিয়ে বিবাদ চলছিল। ৩৯ বছরের বিবেক রামাস্বামীর মন্তব্য সেই বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ৫২ বছরের রিপাবলিকান নেত্রী নিকি হ্যালি তারই জোরালো জবাব দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই হোয়াইট হাউসের আধিকারিক হিসাবে শ্রীরাম কৃষ্ণনকে নিয়োগ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর প্রশাসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিনিয়র হোয়াইট হাউস পলিসি অ্য়াডভাইজর হিসাবে কাজ করবেন শ্রীরাম কৃষ্ণন।
এই ঘটনার পরই তীব্র দক্ষিণপন্থী হিসাবে পরিচিত লরা লুমার শ্রীরামের একটি টুইট পুনরায় শেয়ার করেন। যেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই প্রযুক্তিবিদ বলেছিলেন, দক্ষ প্রযুক্তিবিদদের আমেরিকায় আসার পথ সহজ করতে গ্রিন কার্ডের যেকোনও বিধিনিষেধ তোলার সিদ্ধান্তকে তিনি স্বাগত জানাচ্ছেন।