জানা গিয়েছে করোনা টিকার আকালের মাঝেই এবার দেশের ৯টি রাজ্য টিকা আমদানি করতে চলেছে। কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড, তেলাঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ওড়িশা ঘোষণা করে জানিয়েছে যে তারা করোনা টিকা আমদানি করার পরিকল্পনা করছে। উল্লেখ্য, ভারত সহ সারা দুনিয়ায় গণ-ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়েছে৷ আর এতে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের ৬০ শতাংশ উৎপাদিত হয় ভারতে৷ অথচ দূরদৃষ্টির অভাবে সেই দেশের অবস্থাই বিশ্বে সবচেয়ে খারাপ৷
প্রথম দফায় কেন্দ্রীয় সরকার নিজেই ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে ভ্যাকসিন দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল৷ অথচ বর্তমানে এই টিকাকরণের গতি এক মাস আগের থেকেও অর্ধেক হয়ে গিয়েছে৷ এমনকি ১ মে থেকে ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াও ধাক্কা খেয়েছে৷ দেশজুড়ে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করতে হলে মাসে ১০-১১ কোটি ভ্যাকসিন উৎপাদন করা দরকার। তবে এখন সেই লক্ষ্যমাত্রার ধারের কাছে পৌঁছতে পারবে না ভারত।
বর্তমান অবস্থা অনুযায়ী, দেশের ১৮ বছর ও তার ঊর্ধ্বে ৮০ কোটি মানুষের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে কমপক্ষে আট মাস সময় লাগবে৷ উল্লেখ্য, বিশ্বের ৬০ শতাংশ ভ্যাকসিন উৎপাদন করলেও দফায় দফায় দেশের সব লোককে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থেকে এখনও অনেকটাই দূরে ভারত৷ এই আবহে বারোটি রাজ্যে এক লক্ষেরও বেশি অ্যাকটিভ কোভিড কেস রয়েছে৷
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, প্রত্যেককে ভ্যাকসিন না দেওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়৷ তাদের হিসেব অনুযায়ী, বিশ্বের ধনী দেশগুলির ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়ার গতি, গরিব দেশগুলির ওই প্রক্রিয়ার থেকে ২৫ গুণ বেশি৷ এখনও পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৪টি দেশে ভ্যাকসিনের মোট ১২৫ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে৷ ভারতে এখনও পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন ১৬ কোটির বেশি মানুষ।