করোনা আবহে টিকা একমাত্র হাতিয়ার। এই কথা ডাক্তার থেরে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী, সবাই এক বাক্যে এই কথা মেনে নিয়েছেন এবং টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই টিকা যাতে সবাইকে দেওয়া যায়, তার জন্য দিনরাত কাজও করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। তবে টিকা পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল অরুণাচলপ্রদেশের ১৬ পশু পালক। চিন সীমান্ত লাগোয়া এক গ্রামে এই ১৬ জন পশু পালকের বাস। আর তাদের কাছে করোনা টিকা পৌঁছে দিতে ৯ ঘণ্টার যাত্রা করলেন স্বাস্থ্যকর্মী এবং আধিকারিকরা। এই গ্রামটি ১৪ হাজার ফিট উচ্চতায় অবস্থিত।
ভারত-তিব্বত সীমান্তের কাছে অবস্থিত ডমস্টাং গ্রামে টিকাকরণ হয়েছিল গত মে মাসে। তবে ১৬ পশুপালক সেই সময় টিকা নিতে পারেননি। সেই পশু পালকদের জন্যে ফের এই লম্বা রাস্তা অতিক্রম করলেন আধিকারিক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই যাত্রা করা ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন তাওয়াং জেলার ডেপুটি কমিশনার সাং ফুনস্টোক এবং তাওয়াং জেলা পরিষদ চেয়ারপার্সন লেকি গোম্বু। দুটি পাহাড়ের চূড়া, একটি নদী এবং গভীর জঙ্গল পার করে এই গ্রামে পৌঁছায় এই দল।
এই দলটি রবিবার সকাল ৭টায় যাত্রা শুরু করেন। গ্রামে গিয়ে তাঁরা পৌঁছান সৌমবার সাড়ে ৪টে নাগাদ। সেখানে টিকাকরণ থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হয়। পরের দিন সকালে তাওয়াং জেলার ডেপুটি কমিশনার সাং ফুনস্টোক গ্রামবাসীদের সঙ্গে উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়েও আলোচনায় বসেন। তাছাড়া টিকা দেওয়া ছাড়ও কোনও গ্রামবাসী অসুস্থ কি না তাও দেখেন দলের চিকিত্সকরা।