বিপ্লব দেবের রাজ্যে ৯০ বছরের বৃদ্ধাকে গণধর্ষণ করা হল। এই ঘটনায় গোটা বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কয়েক দিন আগেই ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পেশ করা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, দেশে প্রতি ১৬ মিনিটে একজন মহিলা ধর্ষণের শিকার হন। একরত্তি শিশু থেকে ৯০ বছরের বৃদ্ধা। এদেশে পুরুষের যৌন লালসার হাত থেকে যেন রেহাই নেই কারও! ত্রিপুরায় ৯০ বছরের বৃদ্ধাকে গণধর্ষণের অভিযোগে শিউরে উঠল দেশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। দু’জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। উত্তর ত্রিপুরার কাঞ্চনপুরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকেন। গত ২৪ অক্টোবর তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় দুই অভিযুক্ত। অত্যাচারের ধাক্কায় প্রবল অসুস্থ হয়ে পড়েন নির্যাতিতা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে একজন প্রতিবেশী। দ্বিতীয় জনকে চেনেন না নির্যাতিতা বৃদ্ধা। বৃদ্ধার আত্মীয়রা থানায় ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? পুলিশকে দেওয়া বৃদ্ধার জবানবন্দি অনুয়ায়ী, তিনি একাই থাকেন বাড়িতে। ঘটনার দিন মাঝরাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে অভিযুক্তরা। তাদের মধ্যে মাঞ্জন নামা নামে এলাকার এক যুবক ছাড়া অন্যজন বৃদ্ধার অপরিচিত। তারপর গণধর্ষণ করে প্রায় আধমরা অবস্থায় রেখে পালিয়ে যায়। পরের দিন সকালে চেতনা ফিরে পেলে প্রতিবেশীদের খবর দিয়েছিলাম। নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু অভিযুক্তরা এখনও অধরা।
এই ঘটনায় উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী জানান, আমরা অভিযুক্ত দুই ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করেছি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং ৪৫৭ ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে। আমাদের কাছে বৃহস্পতিবার অভিযোগ এসেছে। এরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করতে পারিনি। বৃদ্ধার পৈতৃক প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। তা হাতাতেই এই কুকর্ম করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। যদিও মাঞ্জনের স্ত্রীর দাবি, ঘটনার দিন তাঁর স্বামী বাড়িতেই ছিলেন। এই ঘটনা ভুয়ো। আমার স্বামীকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হচ্ছে।