সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও সোমবার ওড়িশার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে বঙ্গোপসাগরে নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উড়ানের পরে নিশানায় পৌঁছানোর আগেই অভিযান বাতিল করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)।
উৎক্ষেপন প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘সকাল ১০.৩০ তে ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্র থেকে ছাড়া হয় নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু মাঝপথে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ৮ মিনিট পরেই উড়ান বাতিল করা হয়েছে।’
গত ৩৫ দিনে এই নিয়ে দশম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপ করল ডিআরডিও। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন সেনা সমাগম বৃদ্ধি ও সামরিক সজ্জা বৃদ্ধির জেরে অত্যাধুনিক দ্রুতগতির নজরদারি ব্যবস্থা ও নয়া প্রযুক্তির সমরাস্ত্র সমাগমে জোর দিয়েছে ভারত।
ডিআরডিও ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর,কয়েক মাসের মধ্যেই আর একটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার কথা রয়েছে, যার পরে নির্ভয়কে সীমান্তে বহাল ভারতীয় সেনাবাহিনীর অস্ত্র সম্ভারের আনুষ্ঠানিক অন্তর্ভুক্তি করা হবে। উল্লেখ্য, এর আগে সীমিত সংখ্যক নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্র সীমান্তের সেনা ঘাঁটিতে পাঠানো হয়েছে।
আদতে সাবসনিক পর্যায়ভুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভয় ০.৭ ম্যাচ গতিতে উড়তে সক্ষম। সেই সঙ্গে সমুদ্রপৃষ্ঠ ও জমি ঘেঁষে উড়তে সক্ষম বলে এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের রাডারের নজরদাড়ি এড়াতে দক্ষ। তার বিচরণ ক্ষমতার কারণে মাঝপথেও এই ক্ষেপণাস্ত্রকে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। উৎক্ষেপণে সাহায্য করে ডিআরডিও-র তৈরি শক্তিশালী রকেট বুস্টার।