ফাঁসি কার্যকর হতে বাকি আর চারদিন। তার আগে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করল নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম দণ্ডিত পবন কুমার গুপ্ত। মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীন করার আর্জি জানিয়েছে সে।
আরও পড়ুন : 'মানসিক অসুস্থতা'-য় দিল্লির হাসপাতালে নির্ভয়া দণ্ডিতের চিকিৎসার আর্জি খারিজ
পাশাপাশি গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট যে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল, তার উপরও স্থগিতাদেশের আর্জি দাখিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন :দোষীকে আইনি সাহায্য দেওয়ার প্রস্তাব আদালতের, কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা
দিল্লি হাইকোর্ট সাতদিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া সত্ত্বেও চার দণ্ডিতদের মধ্যে একমাত্র পবনের সামনেই আইনি পথ খোলা ছিল। শুক্রবারের আগে পর্যন্ত কোনও কিউরেটিভ পিটিশন বা প্রাণভিক্ষার আর্জি দাখিল করেনি সে। পবনের আইনজীবীর দাবি, দিল্লি হাইকোর্ট যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল, সে বিষয়ে জানত না নির্ভয়া কাণ্ডের ওই দণ্ডিত।
আরও পড়ুন : 'সরকারকে দণ্ডিতদের ফাঁসি দিতে হবে', কেঁদে ফেললেন নির্ভয়ার মা
এদিনের পিটিশনের ফলে ফাঁসি কার্যকর নিয়ে কিছুটা হলেও আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হল। কারণ আপাতত নিয়ম অনুযায়ী চার দণ্ডিতের একসঙ্গে ফাঁসি দিতে হবে। ফলে কোনও কারণে পবনের ফাঁসি আটকে গেলে বাকি তিনজনের ফাঁসিও পিছিয়ে যাবে। তবে দণ্ডিতদের পৃথক ফাঁসির আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্র। তার আগে কেন্দ্রের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন : নির্ভয়া মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতকক্ষে সংজ্ঞা হারালেন বিচারপতি
উল্লেখ্য, চার দণ্ডিতের বিরুদ্ধে প্রথম যে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হয়েছিল, সেই অনুযায়ী তাদের গত ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকরের দিন ধার্য হয়েছিল। কিন্তু তা পিছিয়ে যায়। নয়া মৃত্যু পরোয়ানায় গত ১ ফেব্রুয়ারি দিন কার্য হয়েছিল। কিন্তু তাও পিছিয়ে যায়। শেষপর্যন্ত তৃতীয় মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানায়, আগামী ৩ মার্চ চার দণ্ডিতের ফাঁসি কার্যকর হবে।