শনিবারের বাজেট বক্তৃতায় 'স্বামীহ ফান্ড'-এর জন্য বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন, এই তহবিলের জন্য নতুন করে ১৫,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। যার প্রধান লক্ষ্য হল, আটকে থাকা ১ লক্ষ বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করা। যাতে সেইসব বিনিয়োগকারীরা স্বস্তি পান, যাঁরা বাড়ি কেনার জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি 'স্ট্রেস ফান্ড' ঘোষণা করা হয়। যার পোশাকি নাম - 'স্পেশাল উইন্ডো ফর অ্যাফরডেবল অ্য়ান্ড মিড-ইনকাম হাউজিং' বা সংক্ষেপে স্বামীহ। এই ফান্ড বা তহবিল নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল, সারা দেশে আটকে থাকা আবাসন প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করা। এই তহবিল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে - এসবিআইসিএপি ভেঞ্চার্স লিমিটেড। যা আদতে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কেরই একটি শাখা সংস্থা।
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের দাবি, স্বামীহ ফান্ড - ২ তার প্রথম পর্যায়ের উদ্যোগের মতোই সফল হবে। তিনি আরও জানান, স্বামীহ ফান্ড -১ এর অধীনে আটকে থাকা একাধিক আবাসন প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৫০ হাজার বাড়ি (ইউনিট)। সেই বাড়ির চাবি মালিক বা ক্রেতাদের হাতে তুলেও দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই আরও ৪০ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলা হবে। এর ফলে যে মধ্যবিত্তরা ঋণ নিয়ে এবং প্রতিমাসে সেই ঋণের কিস্তি শোধ করে বাড়ি কিনছেন, বা বাড়ি কেনায় বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা উপকৃত হবেন। কারণ, নতুন বাড়ির চাবি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের অনেকেই ভাড়া বাড়িতে থাকছেন। ফলে সেখানে তাঁদের একটা বাড়তি খরচ হচ্ছে।
নির্মলা জানান, সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের প্রথম পর্যায়ের সাফল্যকে ভিত্তি করেই স্বামীহ - ২ তহবিল শুরু করা হবে। যেখানে সরকার, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের মিলিত অবদান থাকবে। এই তহবিলের অধীনে মোট ১৫,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হবে। যার ফলে আরও ১ লক্ষ গৃহ নির্মাণ করা সম্ভব হবে। প্রসঙ্গত, স্বামীহ ফান্ড - ১ এর অধীনে এখনও পর্যন্ত ১৫,৫৩০ কোটি টাকার বিনিয়োগ এসেছে।
মূলত, যাঁরা প্রথমবার আবাসন নির্মাণ করছেন, বিভিন্ন কারণে যেসমস্ত আবাসন প্রকল্প শেষ না হয়ে পড়ে রয়েছে, যে ডেভলপারদের কাজ নিয়ে তেমন সুনাম নেই - তাঁদের অসমাপ্ত বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প, গ্রাহক বা ক্রেতাদের অভিযোগ রয়েছে, এমন সব প্রকল্প নিয়েই কাজ করে এই স্বামী ফান্ড বা তহবিল।