কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটে রদবদলের আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। নিশঙ্ক নামেই পরিচিত তিনি। জাতীয় ক্ষেত্রে শিক্ষা সংস্কারের জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতি প্রয়োগের দায়িত্বও বর্তেছিল তাঁর উপর। কিন্তু সে কাজে কি আদৌ গতি আনতে পেরেছিলেন তিনি? এদিকে সম্প্রতি করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও তিনি নানা শারীরিক সমস্য়ায় ভুগছিলেন। এইমসে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে।
আসলে তিনি নিশঙ্ক নামেই পরিচিত বিভিন্ন মহলে, বিশেষত কবিতার জগতে। এই ছদ্মনাম ব্যবহার করতেই তিনি ভালোবাসেন। ২০১৯ সালে মোদী দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় বসার পরে শিক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তবে প্রথম থেকেই জ্যোতিষশাস্ত্রের উপর তাঁর অগাধ বিশ্বাস। তবে সূত্রের খবর জাতীয় শিক্ষানীতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিনি অত্যন্ত ধীরে চলো পলিসিতে চলছিলেন। এর জেরেই তাঁর প্রতি কিছুটা অসন্তোষ ছিল সরকারের। পাশাপাশি সংঘ কর্তারাও তাঁর কাজকর্মে বিশেষ সন্তুষ্ট ছিলেন না।
আরএসএস অনুমোদিত শিক্ষা সংস্কৃতি উত্থান ন্যাসের অন্যতম কর্তা অতুল কোঠারি জানিয়েছেন, জাতীয় শিক্ষানীতি অত্যন্ত ভালো। কিন্তু এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে গতি আনা দরকার। শিক্ষাদফতরের এক পদস্থ আধিকারিকের দাবি, নিশঙ্ক দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন না। শিক্ষাক্ষেত্রে প্রচুর সিদ্ধান্ত বকেয়া পড়ে রয়েছে। কিন্তু সেগুলিকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছিল না।